রুবেল মজুমদার, কুমিল্লা: [২] বৃষ্টি না হওয়ায় চৈত্রে মাসের শুরুতে খরতাপে পুড়ছে কুমিল্লা নগরসহ সমগ্র জেলা। টানা তিনদিন ধরে কুমিল্লার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ ৬ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।
[৩] এমনি কি সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। অন্যান্য বছরের চেয়ে চলতি বছর গরমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। এদিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা তীব্র গরমে সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছেন।
[৪] রমজানের শেষ সময় গরমে অতিষ্ঠ খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তীব্র রোদে কাজ করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই গরমে রোজাদারদের চরম কষ্ট হচ্ছে।
[৫] ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার শপিংমলগুলোতে ঈদে কেনাবেচায় গরমে বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতাদের। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে দুর্ভোগ বেশি। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা অনেক এলাকায় ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। রোজায় তীব্র গরমের সঙ্গে বিদ্যুতের ভোগান্তি জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
[৬] কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ ইসমাইল ভূইয়া বলেন, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে টানা তিন ধরে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি। বেলা বাড়ার সঙ্গে তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা মাত্র ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ। এ কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাওয়ায় তাপদাহ বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুমিল্লা আপাততবৃষ্টির সম্ভাবনা নাই। আগামী ৩ দিনের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেজন্য কুমিল্লায় বৃষ্টি হতে পারে।
[৭] এদিকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা রিকশাচালক করিম বলেন, প্রচুর গরম পড়ছে, রোদের তাপের কারনে রিকশা নিয়ে বসে আছি। কি আর করবো ভাই তারপরও চালাতে হচ্ছে। না চালিয়ে কি করবো? পেট তো কেউ চালাবে না সামনে ঈদ।
[৮] চকবাজার একালার মাছ ব্যবসায়ী সাল্লাউদ্দিন বলেন, ‘রাস্তাগুলো যেন আগুন। বাজারে না বসলে খাব কি? একদিন কাজ না করলে আমাদের খাবার জোটে না। তাই কাজ করছি।’
[৯] কালা মিয়া নামের রাজগঞ্জের এক ফল ব্যবয়ায়ী বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা রোদ। এরমধ্যেই আমাদের রোজা থেকে কাজ করতে হয়। আমাদের মত গরিব মানুষদের প্রতি সবাই একটু নজর দেন। নইলে আমরা চলব কিভাবে? জিনিসপত্রের যে দাম, আমাদের কাজের মজুরি একটু বাড়িয়ে দিলে উপকৃত হই।’ সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :