শাহীন খন্দকার: গত সপ্তাহের চেয়ে শুক্রবার বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক। তবে বেড়েছে চাল ও মুরগীর দাম। গত সপ্তাহে পাকিস্তানী কোক মুরগী কেজি ছিলো ৩১০ আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা দেশী মুরগী কেজিতে ছিল ৪৭০ বিক্রি হচ্ছ ৪৮০-৫০০ টাকায়। পাকিস্তানি সাদা মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩২০ আর গত সপ্তাহে ছিল ৩১০ টাকা। র্ফামের সাদা মুরগী গত সপ্তাহে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।
একই সঙ্গে বেড়েছে চালের দাম। এছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত। শুক্রবার (৭অক্টোবর) বাজারগুলোয় চালের দাম এখনও বাড়তি। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়, বিআর ২৮ চালের দাম দুই টাকা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ মিনিকেট কেজি ৬৮-৮০ মান ভেদে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৯০ টাকায়।
চাল ব্যবসায়িরা বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বাড়তি। দু’এক ধরনের চালের দাম কমলেও অন্যান্য চালের দাম বাড়তির দিকেই।
প্রজনন মৌসুম হওয়ায় আজ (৭ অক্টোবর) থেকে আগামী ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা ও ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে বাজারে ছিল না ইলিশ মাছ। যার প্রভাব পড়েছে অন্য মাছের দামে। তাতে সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০-৮০ টাকা।
মোহম্মদপুর কৃষি বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেড় কেজির বেশি ওজনের কাতলা ও রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪২০ টাকা। আর এক কেজির কম ওজনের বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। যা সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০-৭০ টাকা বেশি। এছাড়াও টেংরা ও মাঝারি আকারের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
মোহম্মদপুর কৃষি বাজারের ডিম ব্যাবসায়ি শফিকুল ইসলাম বলেন, লাল ডিমের ডজন ১৪০, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ডজন,পাকিস্তানি মুরগির ডিম ১৮০ টাকা, কোয়েল পাখীর ডিম ডজন ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন, ডিমের দাম কমার সম্ববনা নেই বলে জানালেন তিনি। তবে ভারতীয় ডিম প্রবেশ করলেই ডিমের দাম কমতে পারে!
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এতে দেশী মুরগীর খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ব্যবসায়িদের ক্ষতির কারণ নেই বলে তিনি জানান। রাজধানীতে শীত না পড়লেও বাজারে উঠেছে মৌসুমী সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম , মানকচু , মাটির নিচের ধানমুচা আলু ,হাত্তিকেনা সিম, বেগুনসহ অন্যান্য সবজি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি আকার ভেদে ৪০-৫০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৮০-৯০, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা গফঁরগাও এর বেগুন ১০০, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সিমের দাম কেজি ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০, ঝালি কুমড়া পিস ৪০, লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ মিষ্টি কুমড়া ৫০ চিচিঙ্গা ৬০ পটল ৬০ ঢেঁড়স ৭০ মানকচু কেজি ১০০ মাটির নিচের ধানমুচা আলু ৬০টাকা কচুর লতি ৮০ পেঁপে ৪০ বরবটি ৮০ ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০-১০০ টাকায়। কাঁচকলার হালি ৩০-৪০ লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকায়। এছাড়া দেশী আদা ১৪০ কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা ,চায়না আদা ১৮০ কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা পিয়াস ৪০ টাকা কেজী রসুন চায়না ১৩০ কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা দেশী রসুন ৬০-১২০ টাকা কেজিতে ১০ টাকা বাড়ছে আলু ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০-৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। মশুরির ডাল দেশী পাইকারি ১২০ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকয়। চিনি পাইকারি ৮৬ টাকা বিক্রি ৯০ টাকা, মুগের ডাল পাইকারি ১২২ খুচরা ১২৭ বুটের ডাল ৬০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোয়াবিন ৫ লিটার ৮৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ছিল ৯৪৫ টাকায়। বর্তমানে সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ি সাগর।
এসকেে/এসবি২