শওগাত আলী সাগর: বাংলা সাংবাদিকতার ‘তুলোধুনো’ শব্দটা যে অর্থে ব্যবহৃত হয়, ঠিক সেই রকম পরিস্থিতির মুকোমুখি হয়েছিলেন কানাডার ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জঁ ইভ ডিকলো এবং প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ড. থেরেসা ট্যাম। কোভিড মোকাবেলা ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে দুইজনকে ডাকা হয়েছিলো সংসদীয় কমিটির সামনে। বিরোধী দলীয় এমপিরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেছেন।
সংসদের ইথিকস কমিটিও আলাদাভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তাকে তলব করেছে। কোভিড মহামারীর নাগরিকদের ভ্রমণ মনিটরিংয়ের জন্য নাগরিকদের মোবাইল ফোনের তথ্য ব্যবহারের নৈতিকতা নিয়ে জবাবদিহি করার জন্য তাদের তলব করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা- দুজনেই নিশিচত করেছেন- সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তারা হাজির হবেন।
সরকার ঠিকঠাক মতো কাজ করছে কী না সেটি তদারকি করাইতো সংসদীয় কমিটির কাজ। সরকারকে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে জবাবদিহির মধ্যে রাখাও তাদের কাজ। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তাকে যে প্রশ্নগুলো করা হয়েছে- সেগুলো আসলে জনগণেরও জিজ্ঞাসা। এমপিরা যথার্থই সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সেই সব প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন।