শাহীন খন্দকার: [২] নারায়ণগঞ্জের সিটি করর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ।এবারের নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী না দিলেও মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। তবে বিএনপির কিছুর প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। প্রচার-প্রচারনায় তারা সবাই জনগনকে এলাকার উন্নয়নের জন্য দিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, (নাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।
[৩] এদিকে নারায়ণগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সব কেন্দ্রই ঝুকিঁপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে কঠোরনিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে।পুলিশের ৭৫টি টিম ও র্যাবের ৬৫টি টিম মাঠে থাকবে। বিজিবিও আমাদের সাথে কাজ করবে। কেন্দ্রগুলোতে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
[৪] তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন এসআইএর নেতৃত্বে থাকছে ৫জন পুলিশ সদস্য। ৮জন পুরুষ ও ৪জন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্বার দায়িত্বে থাকবেন। মাহফুজা আক্তার আরো বলেন, এই নির্বাচনে ৭জন মেয়র প্রার্থী ৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলার পদে ৩৪জন এবং ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪৮জন কাউন্সিলার প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
[৫] ১৯২টি কেন্দ্রের১হাজার ৩৩৩টি ভোট কক্ষে ৫লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ২লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ এবং ২লাখ ৫৭ হাজার ৫১১জন নারী ভোটরার তাদের ভোট দিবেন।
[৬] সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, (নাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার প্রশ্নে বলেন, আমি মানুষের ভালোবাসায় প্রার্থী হয়েছি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স সবচেয়ে বেশি। এখানে নাগরিক সুবিধা কম। সিটি করপোরেশন ২২ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স নেয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম নেয় ১৪ শতাংশ। জনগণ আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এর আগে আমি একটি দল থেকে নির্বাচন করছিলাম। তাই আমাকে বসে যেতে হয়েছে। এবার আমি জনগণের প্রার্থী। তিনি আরও বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন কেন আমি দাঁড়িয়েছি। আমি জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতি করলেও নারায়ণগঞ্জের জনগণের চাহিদা ও তাদের আকাঙ্খার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। জনগণের প্রয়োজনেই আমাকে এখানে নির্বাচনে দাঁড়াতে হয়েছে।
[৭] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নৌকা মানেই উন্নয়ন, নৌকা মানেই জনগণের কল্যাণ। আমি মনে করি, নারায়ণগঞ্জবাসী আবারও আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমার দলের নেতাকর্মীরা আমার জন্য কাজ করছে। আওয়ামী লীগের কোনো লোক নৌকার বাইরে যেতে পারে না। আমরা বরাবরের মত এবারও জয়যুক্ত হব আশা করছি। ২০১৬ সালেও আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়যুক্ত হয়েছি।
[৮] তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। ওয়াসার পানির দাম আমি বৃদ্ধি করি নাই। আমি অনেক রাস্তা-ঘাট করে দিয়েছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ২৭টি ওয়ার্ডে গাড়ি নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন, সেই রাস্তাগুলো আমার সময়ে করা হয়েছে। আমি বলব সত্য বলুন- কারণ,ভোটের পরে আমরা সবাই এক সঙ্গেই থাকব। বিগত দিনে আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। এবারের নির্বাচনেও আমি আশা করি জনগণ আমার সঙ্গে থাকবে।