শিরোনাম
◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলন ঠেকাতে দমনপীড়ন, নিন্দা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ অবসরের পর দুবোন মিলে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবো: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও) ◈ শাহ আমানতে এয়ার এরাবিয়ার বিমানে ব্রেকে ত্রুটি, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ২০০ আরোহী

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৪ রাত
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে ডিসির হস্তক্ষেপে ‘শেষ মুহূর্তে’ পরীক্ষা দিল জরিপ

নিউজ ডেস্ক: নাটোরের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী কলেজের পাওনা পরিশোধ করতে না পারায় উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়নি। তবে খবর পেয়ে নাটোর জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিজে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেন। যুগান্তর

পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বকেয়া টাকাও পরিশোধ করা হয়।

দরিদ্র পরীক্ষার্থী জরিপ আলী নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মৃত সামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। তিনি সদরের চন্দ্রকোলা গ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। নাটোর মহিলা কলেজ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার তার হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল।

পরীক্ষার্থী জরিপ আলী জানায়, ২০১৮ সালে তার পিতা মারা গেছে। দরিদ্রতার কারণে সে অন্যের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করে। সংসার চালাতে গিয়ে সে কলেজের সেশন ফিসহ পরীক্ষার ফিসের পুরো টাকা দিতে পারেনি। গত শনিবার কলেজে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র চাইলে কলেজের করণিক তাকে টাকা বকেয়া থাকায় প্রবেশপত্র দেননি। উপায় না পেয়ে সে বাড়ি ফিরে আসে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নাটোর মহিলা কলেজ কেন্দ্রে তার প্রথম পরীক্ষা শুরু হয়। সময়মতো কেন্দ্রে আসলেও প্রবেশপত্র না থাকায় সে সাহস করে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করেনি। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় সোয়া ঘণ্টা পর বিষয়টি কেন্দ্র সচিবের নজরে আসে। পরে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রে এসে তার পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনুমানিক ১০ মিনিট আগে দরিদ্র পরীক্ষার্থী জরিপ আলী পরীক্ষা দিতে শুরু করে। সময় স্বল্পতার কারণে সে সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি বলে সাংবাদিকদের জানায়।

তবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সে নাটোর জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানায়।

কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার বেশ কিছু সময় পর তিনি পরীক্ষকদের মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত আছে বলে জানতে পারেন। পরে খোঁজ নিয়ে মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসক অবগত হয়ে যান। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক তার কেন্দ্রে চলে আসেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জরিপ আলী নামের ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। তবে বিলম্বের কারণে তাকে পুরো সময় দেওয়া সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসক ওই পরীক্ষার্থীর বকেয়া কলেজ ফি বাবদ দুই হাজার ১০০ টাকা কলেজকে পরিশোধ করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন ১০ মিনিট নয়, আধা ঘণ্টা আগে তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি পারভিন জানান, জরিপ আলী প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত করেনি। তাই জরিপ আলীকে সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ তিনি পাননি।

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বৃহস্পতিবার রাতে জানান, জরিপ আলীর বাবা নেই মাও মানসিক রোগী। টাকার অভাবে সময়মতো পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার খবর শুনে তাৎক্ষণিক তিনি তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন এবং কেন্দ্রে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তার কলেজের পাওনাদি পরিশোধ করে দিয়েছেন। কিছুটা দেরিতে পরীক্ষা শুরু হলেও এমন দরিদ্র পরিবারের সন্তানের একটি বছর নষ্ট হোক তিনি কোনোভাবেই তা হতে দিতে চাননি। কেন সময়মতো ওই পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র হাতে পেলেন না এ বিষয়টিও তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়