শিরোনাম
◈ ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস ৮ দিন বন্ধ থাকবে ◈ রাশিয়া-কানাডা থেকে ৩৩২ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার ◈ ধামরাইয়ে বিশেষ অভিযানে ৩১লাখ টাকার হেরোইন সহ গ্রেপ্তার ৩।  ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে ইসরায়েলের বিরু‌দ্ধে ম্যাচের টিকিট বিক্রির টাকা ফিলিস্তিনে দান করবে নরওয়ে ◈ জাতিসংঘের এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশ, সতর্ক থাকবার বার্তা তারেক রহমানের ◈ ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন: ৭০ ইন্টারসেকশনে নতুন বিন্যাসে গতি দ্বিগুণ, যানজট কমেছে ◈ নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ গণআন্দোলন রুখতে কড়া প্রস্তুতি: গবেষণায় নামছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন উদ্যোগ: ‘জাপান ডেস্ক’ চালু, ভাষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা

প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর, ২০২১, ০১:২৯ দুপুর
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর, ২০২১, ০১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে যা দিয়েছে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান তা পারেনি

কামরুল হাসান মামুন, ফেসবুক থেকে: শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আজ এমনভাবে সোজেছে যেন বিয়ে বাড়ি এবং বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভ থেকে এইটা মোটেও বাড়াবাড়ি না। কারণ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠান হিসাবে অন্য কেউ এর ধারে কাছেও কেউ দিতে পারেনি। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যা দিয়েছে বাংলাদেশের সরকারগুলো কি কখনো তার বিনিময় দেওয়ার চেষ্টা করেছে? যদি করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন অমানবিকভাবে থাকত না। তাদের থাকার জায়গা থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া খুবই খুবই নিম্নমানের। অথচ কেউ দাবিও জানায় না।

এইটা মানতেই হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণালী দিন ছিল জন্মের পর থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। এরপর থেকে এর অধপতনের দিকে যাত্রা শুরু। ভারত ভেঙে পাকিস্তান হলে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গুষ্টি কখনোই তৎকালীন পূর্ববাংলার উন্নয়নে নজর দেয়নি। ফলে শিক্ষা ও গবেষনা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাস শিফ্ট হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কেন্দ্রীভূত হয়। এই যে শিফট হয়েছিল সেখান থেকে আমরা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ শিক্ষা ও গবেষনায় ফিরে যেতে পারিনি। এই এসবের একমাত্র কারণ হলো দলান্ধ ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি। ছাত্র রাজনীতির আগের সেই অতীত ঐতিহ্য নেই কারণ যেই পরিবেশ অতীত ঐতিহ্য তৈরী করেছিল সেই পরিবেশ এখন আর নেই। নতুন বাংলাদেশে যেমন ছাত্র রাজনীতি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা কখনো সেই পথে হাঁটিনি। অথচ এই ৫০ বছরে বিশ্ব রাজনীতি, বিশ্ব অর্থনীতি এবং বিশ্বপরিবেশের আমূল পরিবর্তন এসেছে। আমরা সেই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইতে পারে এমন রাজনীতি তৈরী করিনি। আমাদের রাজনীতি হলো কাঁদা ছোড়াছুড়ি আর বড্ড বেশি অতীতমুখী।

আলোকসজ্জা ছাড়াও শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেই পরিমান টাকা যেইসব ক্ষেত্রে খরচ করছে সেই খরচ কতটা যৌক্তিক? যেমন প্রতিটা বিভাগককে একটি করে বই লিখতে বলা হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটা বিভাগ থেকেই একটি করে বই প্রকাশ করছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নালগুলো বিশেষ সংখ্যা বের করছে। এই দুটো কাজ কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে অবহেলিত খাতটি হলো গবেষনা এবং সবচেয়ে অবহেলিত মানুষ হলো গবেষকরা। শতবর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে এটিও আমরা একেবারে ভুলে গেছি। কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্যেশ্য (শিক্ষা ও গবেষণা) আবার পুনরুদ্ধার করা যায় সেই বিষয়ে তেমন আলোচনা ও অ্যাকশন প্ল্যান হয়নি।

বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ কেমন সেটা গত কয়েকদিনের সংবাদ শিরোনাম দেখলেও টের পাওয়া যায়। যেমন "সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাই আতঙ্ক ঢাবি ক্যাম্পাসে", "ঢাবিতে ক্যান্টিনের দেয়াল ভেঙে আহত ২", "ঢাবির এফএইচ হলের রুমে রুমে গিয়ে ছাত্রলীগের হুমকি"! এইসব কি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ শিরোনাম হতে পারে? এই পরিবেশ থেকে মুক্তির কোন আওয়াজ শুনছেন কোথাও?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়