রাশিদ রিয়াজ: [২] -মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন...‘হে ঈমানদারগণ! তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেবদেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালি দিও না। যাতে করে তারা শিরক থেকে আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে। (সূরা আনআম: ১০৮)
অর্থাৎ মুসলিমরা যদি কোন অমুসলিমদের দেবদেবীর পূজা-উপাসনা ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে অমুসলিমরাও প্রতিবাদ স্বরূপ আল্লাহ তা’আলাকে অসম্মান করবে, গালি দিবে। যা এই মুসলিমরা অজ্ঞতাবশত ভাবে নিজ ধর্মকে অসম্মান করল এবং আল্লাহ্ ও নবী রাসূলদেরও অসম্মান করল।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন,‘কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব।’(সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২)
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, আবু হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জনৈক বেদুঈন দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশাব করল। তখন লোকেরা তাকে বাধা দিতে গেলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনম তোমরা তাকে ছেড়ে দাও এবং ওর পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ তোমাদেরকে কোমল ও সুন্দর আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, রূঢ় আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়নি। (সহীহ বুখারী ২২০, ৬১২৮)
বিশ্বনবী (সা.) আরও বলেছেন, অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে।’ (সহিহ বোখারি : ৩১৬৬)
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ‘যুদ্ধকালীন সময়ে বা যুদ্ধের পর কোনো মন্দির-গীর্জা-উপাসনালয় ভেঙে ফেলবে না।’ (মুসান্নাফ আবি শায়বা : ৩৩৮০৪)
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ‘ যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৫১২৩)
কখনো উস্কানীতে পা দেবেন না। আগে পবিত্র কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে জানুন, পড়ুন, সঠিক ব্যাখ্যা বুঝুন। ইসলামের ধর্মীয় উগ্রবাদ কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না।