মাসুদ আলম: [২] ই-কমার্সের নামে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস’ ।
[৩] এছাড়া ‘নিরাপদ শপ’ নামে আরেকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
[৪] সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান বলেন, রোববার রাজধানী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে সোমবার দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
[৫] এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকের জমানো টাকা দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, বিভিন্ন উপায়ে এসপিসির মাধ্যমে আয় করা টাকাগুলো তাদের ওয়ালেটে জমা রয়েছে। কিন্তু তারা কোনোভাবেই এ টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন না। গত তিন-চার মাস ধরে তাদের সব গ্রাহকের একই অবস্থা।
[৬] নিজেদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, এসপিসি মূলত একটি বহু স্তরভিত্তিক বিপণন ব্যবসা (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং- এমএলএম) প্রতিষ্ঠান। যেমনটি ছিল ডেসটিনি। ই-কমার্সের নামে এমএলএম ব্যবসা ও প্রতারণার অভিযোগে ২০২০ সালে আল আমিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ওই সময় জানানো হয়, এসপিসি ২২ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে গ্রেফতারের দুই মাসের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আসেন আল আমিন। আবারও নতুন উদ্যমে শুরু করেন ব্যবসা। তিনি ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের টিম লিডার ও প্রশিক্ষক ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :