সুজন কৈরী :[২] রাজধানীর মিরপুর এলাকায় রোববার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ কালো বাজারী চক্রের একজন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৪। আটককৃতের নাম- কাওছার হামীদ মুন্না (২৯)।
[৩] তার কাছ থেকে ২ হাজার ৪৩০টি পালস্ অক্সিমিটার, ১৮৬টি ইনফারেড থার্মোমিটার এবং নগদ ২ হাজার ৮৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অধিক মুনাফার আশায় নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিক্রি করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করছিলেন।
[৪] সোমবার র্যাব-৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক কাওছার চিকিৎসা সরঞ্জামাদির বিষয়ে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্সে কি ধরনের ব্যবসার উল্লেখ, জয়েন ষ্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এনওসি ও রেজিষ্টেশন সংক্রান্ত কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজ খুললে জব্দ জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটারের ব্যপক চাহিদা হবে বিধায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় বর্ণিত মালামাল নিজের কাছে মজুদ রেখেছে বলে স্বীকার করেন।
[৫] পরে জব্দ মালামাল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষা করে জানা যায়, জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটারগুলোতে একই তাপমাত্রা প্রদর্শন করে। তিনি আরও জানান, জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার গুলো নিম্নমানের। যা ব্যবহার যোগ্য নয়।