শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৫২ রাত
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রভাষ আমিন: ই-কমার্স সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এ খাতেও শৃঙ্খলা আনতে হবে

প্রভাষ আমিন: ইভ্যালির ফাপা বেলুন ফুটে গেছে, ফুটে গেছে ই-অরেঞ্জও। সরকারের নজরদারিতে আছে ধামাকা, বুমবুম, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকম, আদিয়ান মার্ট, নেটডটকম, আলিশা মার্ট। তবে সরকার অনেকে দেরিতে নজর দিয়েছে। ইভ্যালি কিন্তু সবার চোখের সামনেই বেড়ে উঠেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, এমনকি জাতীয় ক্রিকেট দলেরও স্পন্সর হয়েছে তারা। মোটা টাকায় বড় বড় তারকাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়েছে। কিন্তু এই পুরো টাকাটাই সাধারণ জনগণের। আজ যখন ইভ্যালির রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ততোক্ষণে তার দায় ছাড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। ই-অরেঞ্জও সাধারণ জনগণের হাজার কোটি টাকা হাওয়া করে এখন মালিকরা জেল খাটছে। মালিকদের জেলে নিলেই তো সমস্যার সমাধান হলো না।

সাধারণ জনগণের টাকা ফেরত দেবে কে? এর আগে যুবক, ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠান জনগণের টাকা মেরে দিয়েছে। সেই টাকাও জনগণ ফেরত পায়নি। ইভ্যালি বা ই-অরেঞ্জের টাকা কে ফেরত দেবে? যতোদূর জানা যাচ্ছে, তাদের কাছেও টাকা নেই। তারাও টাকা স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে। সরকার এতোদিন ব্যবস্থা নিলো না কেন? কেন দিনের পর দিন সবার চোখের সামনে এমন হাওয়াই ব্যবসা চলতে পারলো। সরকারের আইন কোথায়, নজরদারি কোথায়? তাই সরকারকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। এতোদিন তারা ইভ্যালি বা ই-অরেঞ্জকে আটকালো না কেন? মাথাব্যথার সমাধান মোটেই মাথা কেটে ফেলা নয়। এটা নিশ্চিত অনলাইন আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেই গণমাধ্যমের ভবিষ্যত। তাই ভুয়া নিউজ পোর্টাল আর আইপিটিভির বন্ধ করে এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে হবে। তেমনি ই-কমার্সের সামনেও বিপুল সম্ভাবনা।

ই-কমার্স খাতকে ঘিড়ে গড়ে উঠেছে বিশাল বাজার আর সাপ্লাই চেইন। গড়ে উঠেছে হাজারো উদ্যোক্তা। কৃষকের সঙ্গে ভোক্তার সরাসরি সংযোগ ঘটিয়েছে ই-কমার্স। তাই ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ বা এমন কয়েকটি হাওয়াই কোম্পানি দিয়ে ই-কমার্স খাতকে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। ই-কমার্স মানেই প্রতারণা এমনটি মনে করারও কোনো কারণ নেই। ই-কমার্স সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এ খাতেও শৃঙ্খলা আনতে হবে। কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের যে বিশাল বাজার তাতে এখানেও আমাজন বা আলিবাবার মতো সফল ই-কমার্স সাইট বেড়ে ওঠা অসম্ভব নয়। সম্ভাবনাকে যেন আমরা ‘সম্ভব না’য় বদলে না দেই। লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়