জেমি হাফিজ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যেটা দেখছেন সেটা ছিলো শাহবাগ হোটেল। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর পূর্ববাংলার রাজধানী ঢাকায় উনিশ শতকে বেশকিছু ভবন মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। যেগুলোয় বাইজিদের নাচানো হতো।‘ইসরাত মঞ্জিল’ ছিলো এরকমই একটি উল্লেখযোগ্য বাইজি ঘর,বিখ্যাত বাইজিরা এখানে নাচতেন। ১৯০৬ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল এ ভবনটি নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন এর স্থান হিসেবে নবাব সলিমুল্লাহ এটা নির্বাচন করেন। ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ’ ৩০ ডিসেম্বর,১৯০৬ সালে এ ভবনেই প্রতিষ্ঠা করা হয়, এটি সংস্করণ করে পরবর্তিতে রুপান্তরিত করা হয় হোটেলে, যা প্রথম আন্তর্জাতিক মানের তিন তারকা হোটেল ঢাকার।‘শাহবাগ হোটেল’ "ঝযধযনধময Hotel"। হোটেলের স্থপতি ছিলেন ইংরেজ এডোয়ার্ড হাইক্স ও নকশা করেছিলেন রোনাল্ড ম্যাক কেনেল। শাহবাগ মোড়ের পূবালি ব্যাংক এর পেছনে অবস্থান ছিলো।
পূবালি ব্যাংকের ভবনটি সে সময় মুসলিম লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫ সালে ইনষ্টিটিউট অফ পোস্ট- গ্রাজুয়েটে মেডিসিন এন্ড রিসার্চ (IPGMR) অধিগ্রহণ করে ভবনটি, যাকে সংক্ষেপে ‘পিজি হাসপাতাল’ বলা হয়। এখানে এমবিবিএস ডিগ্রী ছাত্র ভর্তি করা হয় ১৯৮১ ও ১৯৮২ সালে দুটি ব্যাচে। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার ১ম সরকার এর সময় জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে ‘ইনষ্টিটিউট অফ পোস্ট- গ্রাজুয়েটে মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ’ (IPGMR)কে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ করেন। উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে পিজি হাসপাতালে যাত্রা শুরু হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ‘চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে পরিচিত। শিক্ষা,গবেষণা, মানসম্মত চিকিৎসা। তিনটাই সমান্তরালভাবে চলছে এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ফেসবুক থেকে