যশোর প্রতিনিধি: [২] পূর্ব পরিচিত সূত্রে ধরে শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এক বাড়িতে বেড়ানোর নাম করে এক কপোত কপোতীকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় নারীসহ ৪ ছিনতাইকারী চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ নারী সন্ত্রাসী মোছাঃ বুলবুলিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার নুর হোসেনের মেয়ে।
[৩] মামলায় মোছাঃ বুলবুলির সহযোগীরা হচ্ছে, একই এলাকার কাজী আফজাল হোসেনের ছেলে আকাশ, আইয়ূব আলীর ছেলে মেহেদী ও কাজী তারেকের ছেলে তানভীর।
[৪] যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের চারাগাড়ী গ্রামের মতিয়ার সরদারের ছেলে এসএম ফারুক আহমেদ শুক্রবার ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কোতয়ালি থানায় চার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় বাদি তার বান্ধবীকে নিয়ে চাঁচড়া রায়পাড়া আসলে সেখানে বাদির পূর্ব পরিচিত মোছাঃ বুলবুলির সাথে দেখা হয়। বুলবুলির সাথে কথা বললে তিনি তার খালাতো বোনের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ওই দিন দুপুর আড়াইটায় বুলবুলি চাঁচড়া রায়পাড়াস্থ জনৈক সেলিম মাষ্টারের বাড়ির নীচতলার বুলবুলির খালাতো বোনের বাসায় দু’জনকে রেখে চলে যান।
[৫]কিছুক্ষণ পর বুলবুলিসহ অন্যান্য সহযোগীরা ওই ঘরে এসে বাদি ও তার বান্ধবীকে জিম্মি করে ভয়ভীতি প্রর্দশন পূর্বক ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। বাদি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বুলবুলির নেতৃত্বে সহযোগী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী বাদিকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। বুলবুলির সহযোগী আকাশ বাদির কাছে থাকা তিনটি মোবাইল যার মূল্য ২১ হাজার টাকা, মেহেদী বাদির হাতে থাকা একটি স্বর্ণের আংটি, দুইটি তামার আংটি যার মূল্য ২০ হাজার টাকা ও পকেটে থাকা ম্যানিবেগের মধ্যে নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনিয়ে নেওয়ার পর ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকী দিয়ে ছেড়ে দেয়। বাদির বান্ধবী বাড়িতে চলে যায়।
[৬] বাদি ঘটনাস্থল থেকে বাইরে বের হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে আসামীদের নাম সংগ্রহ করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মোছাঃ বুলবুলিকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করে।
আপনার মতামত লিখুন :