আশরাফুল আলম খোকন: হুট করে কোনোকিছু বন্ধ করে দেওয়া, অনিয়ম কিংবা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউকে গ্রেফতার করা খুব কঠিন কাজ না। এই কাজ করার জন্য কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই। হলমার্ক কিংবা ডেসটিনি,ইভ্যালি যাই বলিনা কেন তারা কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে সবার চোখের সামনে তৈরি হয়েছে। বেড়ে উঠার পথে কোনো বাধা বিপত্তি না পাওয়ায় তাদের সঙ্গে আরও অনেকে সম্পৃক্ত হয়েছেন। হলমার্কের কাছে রাষ্ট্রের টাকা, ডেসটিনি ও ইভ্যালির কাছে গ্রাহকও উদ্যোক্তাদের টাকা। সব টাকার মালিকই জনগণ। হলমার্ক রাষ্ট্রের টাকা নিয়ে শিল্পকারখানা করেছে,হয়তো বিদেশেও পাচার করেছে। ওইসব কারখানায় অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে এটাও সত্য। টাকা যা নেওয়ার তা নিয়ে নিয়েছে।
নিয়ে যাবার পর কেন ঘুম ভাঙলো? গ্রেফতার কিংবা বন্ধ করে দিলেতো রাষ্ট্র এবং জনগণ দুইই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখানে তাই হয়েছে ডেসটিনি এবং ইভ্যালির বিজ্ঞাপন এবং স্পনসর অনেক রাষ্ট্রীয় বড় বড় প্রতিষ্ঠানও নিয়েছে। টিভি পত্রিকাতে সবখানে ছিলো বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। গোপনে কিছু করেনি। তাহলে এতোদিন কেন ধরা হলোনা? জনগণের হাজার কোটি টাকা তাদের জিম্মায় যাবার পর গ্রেফতার ও বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া বুদ্ধিদীপ্ত এ যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না।‘জালিয়াতি আর আইনের ফাঁকফোকর’ কাজে লাগানো এক নয়। আমার যেটা মনে হয়েছে হলমার্ক,এহসান গ্রুপ পুরোপুরি জালিয়াতি করেছে আর ইভ্যালিসহ ই-কমার্সগুলো আইনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়েছে। এখানে রাষ্ট্রের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থাও আগে ছিলো না। রাষ্ট্র অভিভাবক। রাষ্ট্রের হাত অনেক লম্বা। অনেক বিজ্ঞ লোকজন রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেন। সবার উচিত বিকল্প কোনো পথ খুঁজে বের করে সমাধান করা। যাতে রাষ্ট্র এবং জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং দেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পথ বন্ধ না হয়। ফেসবুক থেকে