সুজন কৈরী : [২] আটককৃতের নাম- নাজমা সুলতানা ওরফে হাসনাহেনা (৪২)। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শ্যামপুরের ধোলাইপার যুক্তিবাদি গলি এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১০।
[৩] ব্যাটালিয়ন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক নারীর কাছ থেকে ৫টি পাসপোর্ট, ১৫০কপি পাসপোর্টের ফটোকপি, কাতার ও মালোয়েশিয়ার ৩টি আকামা, ১৫টি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড, ১১টি বিএমইটি কার্ড (১০টি নকল), ১৫টি জন্ম সনদ, ১টি এনআইডি কার্ড ও ২টি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হওয়া একজন নারী মারাত্নক নির্যাতনের শিকার হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর র্যাব-১০ এর একটি দল অনুসন্ধান করে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে নজমাকে আটক রা হয়।
[৫] আটক নাজমা ২০ বছরের একজন তরুণীকে গৃহকর্মীর কাজের জন্য গত ১৫ জুলাই মধ্যপ্রাচ্যে পাঠান। সেখানে কাজ করা অবস্থায় ভিকটিমকে পা-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছেকা দিয়ে মারাত্নক জখম করা হয়। এতে ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি চিকিৎসার জন্য পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
[৬] র্যাব জানায়, নাজমা নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ও তার স্বামী নাজমুল পতিতাবৃত্তি ও যৌন কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বয়সের নারী ও শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে গৃহকর্মীর নামে পাচার করছিলেন। নাজমা-নাজমুল দম্পতি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের ৭০-৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। পাচারকৃত নারীরা সেখানে গিয়ে বিভিন্নভাবে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলো বলে অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে র্যাব।
[৭] আটক নাজমার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :