এইচ এম মিলন: [২] মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় আলোচিত সোহাগ তালুকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ আহাদ মোল্লার বসতঘরে রাতের আধাঁরে অগ্নিসংযোগ করেছে দৃর্বৃত্তরা। এতে করে ওই ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে আহাদ মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে ডাসার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[৩] ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকা সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বালীগ্রাম এলাকার পশ্চিম বোতলা গ্রামের আব্দুল হাই মাষ্টারের ছেলে আহাদ মোল্লার সাথে একই এলাকার স্যাম তালুকাদারের ছেলে সোহাগ তালুকদারের জমি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দন্ধ চলে আসছিল। ওই বিরোধপুর্ন জমিতে এক মাস আগে সোহাগ তালুকদার নিজে ধান রোপন করতে গেলে আহাদ মোল্লা তাকে বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায় আহাদ মোল্লা উত্তেজিত হয়ে তার লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে একটি গুলি ছোড়েন। ওই গুলি গিয়ে সোহাগ তালুকদারের পেটের উপর লাগে। এতে করে সোহাগ গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনিত হলে ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
[৪] এ হত্যার ঘটনায় আহাদ মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ডাসার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সোহাগের বাবা স্যাম তালুকদার। তবে ঘটনার দিনই আহাদ মোল্লাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। তার গ্রেফতারের পরপরই সকল আসামীদের বাড়ি জনশুন্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে বুধবার গভীর রাতে আহাদ মোল্লার টিনসেটের বসতঘরটি অগ্নিসংযোগ করে সম্পুর্নরুপে পুড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
[৫] গ্রেফতারকৃত আসামি আহাদ মোল্লার বোন নাসরিন অভিযোগ করে বলেন, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মামলার বাদী স্যাম তালুকদারের নির্দেশে রাতের আধারে সিদ্দিক ফকির, সোহেল তালুকদার ও ময়না বেগমসহ বেশ কয়েকজন মিলে আহাদের বসতঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার ভাই যদি দোষী হয়ে থাকে আইন আছে তারা বিচার করবে। কিন্তু তারা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার কে। তাদের হুমকিতে আমরা নীরিহ মানুষরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে রয়েছি।তবে মামলার বাদী স্যামী তালুকদার ঘটনা অস্বীকার করেন।
[৬] এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, থানায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ওই ঘর রাতের বেলায় কে বা কারা পুড়েছে এখন পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস