মুশফিক ওয়াদুদ: আফগান তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার চীন সফর করছেন একটি প্রতিনিধি দলসহ। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সাথে বৈঠকও করেছেন তালেবান প্রতিনিধি দলটি। অনেকেই হাসা-হাসি করছেন ফেসবুকে। বলছেন, কমিউনিস্ট চীনের সঙ্গে ইসলামপন্থী তালেবানের ঐক্য। ঠিক ঐক্য না বলে বলা যায় ঐক্যের চেষ্টা এবং এই চেষ্টা সফল হলে দক্ষিণ এইং মধ্য এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে সুদুরপ্রসারী প্রভাব পরবে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন।
গত কয়েক দিনে তালেবান এবং চীনের সঙ্গে এই ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে লেখাগুলো পড়ছিলাম। চীনের নীতিনির্ধারকদের মুখপাত্র হিসেবে ধরা হয় যে পত্রিকাটিকে সেই গ্লোবাল টাইমস কিন্তু ইংগিত দিয়েছে যে তালেবান দের ক্ষমতায় আসাতে চীন অখুশী নয়। জুলাইয়ের ২০ তারিখে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপিয়েছে, যার শিরোনাম হচ্ছে ‘ঞধষরনধহ পধঢ়ঃঁৎরহম সড়ৎব রহভষঁবহপব ধ নড়ড়হ ভড়ৎ ৎবমরড়হধষ ভড়ৎপবং ঃযধঃ ড়ঢ়ঢ়ড়ংব টঝ’। চীনপন্থী বিশ্লেষকরা চীন কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী আফগান শক্তিগুলোকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে সে দিকে মনোযোগ দেওয়া কথা লিখছিলেন। তবে চীনের অবশ্য তালেবান নিয়ে ভয়ও আছে। শিনচিয়াং এ উইঘুরদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সাথে তালেবানদের কিছু পক্ষের যোগাযোগ আছে। তালেবানদের কাছে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য সহযোগিতে পেয়েছে শিনচিয়াং এর মুসলিম গ্রুপগুলো।
এ ইস্যুগুলোকে অতিক্রম করে তালেবান এবং চীনের ঐক্য প্রচেষ্টা সফল হলে এ অঞ্চলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত। অনেক টা একা হয়ে পরবে দেশটি। ভারতের এবং বাংলাদেশের দেওবন্দ গ্রুপ গুলোর মধ্যে তালেবান দের বড় ধরনের প্রভাব আছে। চীন, পাকিস্তান এবং তালেবানদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমঝোতা ভারতেকে ভূরাজনৈতিকভাবে দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ায় বড় ধরনের সংকটে ফেলবে। আর এর প্রভাব থেকে ভারতের বাংলাদেশ নীতিও বাদ যাবে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :