শোভন দত্ত: [২] কোভিড পরিস্থিতির কারণে পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে সরাসরি হাটের পাশাপাশি এবার অনলাইনেও ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা রেখেছিল সরকার। এ ডিজিটাল হাটে গত ১৯ দিনে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি পশু বিক্রি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা।
[৩] মঙ্গলবার (২০ জুলাই) পর্যন্ত অনলাইনে পশু বিক্রির হিসাব তুলে ধরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।
[৪] প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৮টি, যার মধ্যে সরকারি উদ্যোগে ৬০২টি আর বেসরকারি উদ্যোগে ১ হাজার ১৬৬টি পরিচালিত হচ্ছে। এসব অনলাইন বাজারে গেল ১৯ দিনে ১৮ লাখ ১২ হাজার ২০২টি কোরবানিযোগ্য পশুর তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
[৫] এ দিন ডিজিটাল হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ৩৮ হাজার ১৫১টি। এর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৪টি এবং ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৯ হাজার ৭টি।
[৬] ডিজিটাল হাটে বিক্রিত কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭১০টি এবং ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে ৯০ হাজার ৮৬৯টি।
[৭] ঢাকা বিভাগে ৫৮ হাজার ২৪৮টি গরু-মহিষ এবং ৪ হাজার ৭৯৪টি ছাগল-ভেড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০৬টি গরু-মহিষ এবং ২৫ হাজার ৮০৫টি ছাগল-ভেড়া, রাজশাহী বিভাগে ৩৬ হাজার ৫৫৫টি গরু-মহিষ এবং ২২ হাজার ৩৯৫টি ছাগল-ভেড়া, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৩৭৭টি গরু-মহিষ এবং ১০ হাজার ৫৮৪টি ছাগল-ভেড়া, বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ৬৬৬টি গরু-মহিষ এবং ৫৯৫টি ছাগল-ভেড়া, সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ১৯৪টি গরু-মহিষ এবং ৯৫১টি ছাগল-ভেড়া, রংপুর বিভাগে ৪১ হাজার ৯৯০টি গরু-মহিষ এবং ২৫ হাজার ৫৯২টি ছাগল-ভেড়া, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ হাজার ২৭৪টি গরু-মহিষ এবং ১৫৩টি ছাগল-ভেড়া অনলাইনে বিক্রি হয়েছে।
[৮] এদিকে, আইসিটি বিভাগ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ই-ক্যাব যৌথ উদ্যোগে অনলাইনে অয়োজন করে কোরবানি পশুর ডিজিটাল হাট। এ হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে, যা সন্তোষজনক বলে মনে করছেন এর আয়োজকরা।
[৯] প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ, ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫ পশুসহ মোট ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে প্রায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু কোরবানি করা হয়েছিল।
[১০] প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দেবাশীষ দাশ জানান, মোট ১৯ দিন অনলাইন পশুর হাট পরিচালিত হয়েছে। গতকালের পর থেকে কোরবানির পশুকে কেন্দ্র করে আর এ অনলাইন কার্যক্রম থাকছে না বলেও জানান তিনি।
[১১] উল্লেখ্য, ২ জুলাই থেকে জেলাভিত্তিক অ্যাপ, ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন অনলাইন সাইটের মাধ্যমে পশু বিক্রি শুরুর উদ্যোগ নেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আর ৪ জুলাই ডিজিটাল হাট নামে আরেকটি প্ল্যাটফর্মও উদ্বোধন করা হয়। সম্পাদনা: ভিকটর রোজারিও