রাশিদুল ইসলাম : [২] ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের ম্যালওয়ার পেগাসাস কীভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাজে লাগছে, তা নিয়ে তদন্ত করেছিল সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম। সেই তদন্তে জানা যায়, পেগাসাসের মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে ৫০ হাজার ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ভারতের দুই মন্ত্রী, বিরোধী রাজনীতিক, সাংবাদিক ও শিল্পপতিরা রয়েছেন। এরপর ইংল্যান্ডের ‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত ব্যক্তি এডওয়ার্ড স্নোডেন বললেন, সরকারগুলির উচিত স্পাইওয়ার কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা। কারণ এখন কারও ফোনই হ্যাকারদের হাত থেকে নিরাপদ নয়। দি ওয়াল
[৩] ২০১৩ সালে স্নোডেন ফাঁস করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি কীভাবে অনেকের মোবাইলে নজর রাখে। তার মতে ম্যালওয়ার তৈরির ইন্ডাস্ট্রিই তুলে দেওয়া উচিত।
[৪] ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন এডওয়ার্ড যোসেফ স্নোডেন। পড়াশোনায় কোনওদিনই ভাল ছিলেন না। হাইস্কুলে উঠে পড়াশোনা ছেড়ে দেন। পরে বিভিন্ন কমিউনিটি কলেজে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু কলেজের ডিগ্রি পাননি। একসময় মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন।
[৫] কম্পিউটারের প্রতি স্নোডেনের আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকে। সেই সূত্রে ২০০৬ সালে তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-তে চাকরি পান। তাকে কয়েকটি অত্যন্ত গোপন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন তার পোস্টিং ছিল জেনেভায়। তিনি কূটনীতিকের ছদ্মবেশে নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি টেকনিশিয়ানের কাজ করতেন।
[৬] ২০০৯ সালে সিআইএ ছেড়ে স্নোডেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিতে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে তিনি এনএসএ-র গোপন কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। ২০১৩ সালে মে মাসে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ছুটি নেন। গোপনে উড়ে যান হংকং-এ। সেখান থেকে ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘গার্ডিয়ান’-কে দফায় দফায় সাক্ষাৎকার দিতে থাকেন। সেই খবরে চমকে ওঠে সারাবিশ্ব। জানা যায়, কীভাবে গোপনে বহু লোকের ওপরে গোপনে নজরদারি চালায় যুক্তরাষ্ট্র।