শাহীন খন্দকার ও মিনহাজুল আবেদীন: [২] মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৩২৫ জন। মোট শনাক্ত ১১,২৮,৮৮৯ জন। মৃত ২০০ জনের মধ্যে পুরুষ ১১১ জন ও ৮৯ জন নারী।
[৩] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৯৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫১হাজার ৩৪০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫১টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭টি।
[৪] গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৫০ জন, বরিশাল বিভাগে সাত জন, সিলেট বিভাগে ১১ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে আট জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাড়িতে মারা যান ছয় জন।
[৬] মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে আটজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
[৭] গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩ হাজার ৭৮৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৭৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৫৪ হাজার ৪৭৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৬ হাজার ৬৮২ জন।
[৮] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগি শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।