সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুতকৃত দেশের সবচেয়ে বড় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরি এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ডিএনসিসির একটি বিপণীবিতানকে এই হাসপাতালে এ রূপান্তর করা হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) মহাখালীতে ডিএনসিসি মেয়র এর সৌজন্যে দেশের সর্ববৃহৎ এই হাসপাতালে পরিচালকের কাছে ৮টি হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলা মেশিন, ১৮টি বাইপ্যাপ মেশিন এবং ৪০ প্যাকেট বাইপ্যাপ মেশিনের এক্সেসরিজ হস্তান্তর করেন। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
[৫] মেয়র বলেন, এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিলো। এখানে দোকান বরাদ্দ থেকেই বছরে প্রায় একশ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। নগরবাসীকে সেবা দিতেই এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।
[৬] আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য তার পক্ষ থেকে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড (কোভিড-১৯) হাসপাতালে অত্যাধুনিক দুইটি এ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়িও দেয়া হয়েছে।
[৭] তিনি আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন এটি (কোভিড-১৯) ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা দেবে। মহামারি শেষ হলে এটি সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে। সেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
[৮] ডিএনসিসি মেয়র সমাজের বিত্তবানদের প্রতি ত্যাগ ও কোরবানীর এই পবিত্র জিলহজ্জ্ব মাসেই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
[৯] অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।