মাসুদ আলম : [২] মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের ডিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডের ব্যবসায়ী হাসান ইমামের গাড়ি চালক হিসেবে চাকরি করতেন মাসুদ রানা। গত প্রায় দুই মাস আগে তিনি চাকরি ছেড়ে সিরাজগঞ্জের একটি লুঙ্গি তৈরির কারখানায় গাড়ি চালকের চাকরি নেন। এরই মধ্যে আগের মালিকের বাসায় লুটপাটের ফন্দি আঁটে তার মনে। বিষয়টি ডাকাত বন্ধু মিজানুর রহমানকে জানিয়ে দুজনে পরিকল্পনা করেন। লুটপাটের উদ্দেশ্যেই গত ১০ জুলাই তারা দু’জনই ঢাকা আসেন। আশ্রয় নেন ওই বাড়ির দারোয়ান সুবল চন্দ্র পালের কক্ষে।
[৩] তিনি আরও বলেন, ইয়াবা সেবনের পর গভীর রাতে লুটপাটের প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে ঘুমন্ত সুবলের হাত-পা বাঁধতে গেলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায় কক্ষের ভেতরে থাকা একটি কাঁচি দিয়ে সুবলের গলায় চেপে ধরেন ঘাতক মাসুদ। অপর পাশ দিয়ে নাইলনের দড়ি দিয়ে সুবলের গলা পেঁচিয়ে ধরেন। প্রাণে বাঁচার জন্য সুবল মাসুদের হাতে কামড় দেন। এ সময় সুবলের গলার ডান পাশে কেঁচি ঢুকিয়ে দেন মাসুদ। এরপর দু’জনে সুবলের গলা টিপে ধরে হত্যা করেন। সোমবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।