শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা আরও বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও কারখানা শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি। প্রতিবছর কারখানায় অগ্নিকান্ডে অসংখ্য শ্রমিকদের মৃত্যু হচ্ছে। এসব দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রতিবেদন আসে তাতে কিছু সুপারিশও থাকে। কখনও জনগণ সেটা জানতে পারে, কখনও তা গোপনই থেকে যায়। তবে বাস্তবায়ন হয়না বললেই চলে। প্রায় ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায় দোষীরা।
[৩]রোববার বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস এর তথ্য অনুযায়ী গেলো ১৫ বছরে অগ্নিদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩১৭ জনের। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৭৪ জন। এরমধ্যে একটি বিশাল অংশই শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ।
[৪] ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ইতিহাসের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের ১১৭ জন পোশাক শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যায়, আহত হয় দুশোর বেশি শ্রমিক। প্রতিটি দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষের মৃত্যুতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয় দারিদ্র্য পীড়িত পরিবার গুলোতে।
[৫] বিবৃতিতে আরো বলেন, বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয় না ভবন, কারখানা তৈরিতে মানা হয়না সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। অগ্নি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকে না কারখানায়। দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। তাই অগ্নিকান্ড কমাতে এবং শ্রমিকদের জীবন বাচাতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :