সমীরণ রায় : [২] করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষের এই সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের খেটেখাওয়া মানুষের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার স্বার্থে, এই সরকার লডকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই নিজের, পরিবারের এবং দেশের স্বার্থে সরকার যে নির্দেশনা নিয়েছে, তা পালন করার জন্য অনুরোধ করছি।
[৩] তিনি বলেন, সরকার এই লকডাউন কখনো প্রলম্বিত করতে চায়না। কিন্তু জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউন সমাধান বলেও মনে করি না। সবাই যদি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেই করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
[৪] তিনি আরও বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ জন নেতা মারা গেছেন। অনেক নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের ১২৫ জনেরও বেশি এমপি আক্রান্ত হয়েছেন। দলের সাত-আটশ' নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
[৫] মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দলের নেতাকর্মীরা সবসময় জনগণের পাশে ছিল, আছে। অতীতের মতো এখনও খেটেখাওয়া মানুষের পাশে থাকার জন্য দলের নেতাকর্মীদের আহবান জানাই।
[৬] ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েকদিন আগে 'পলায়ন' সম্পর্কে একটি কথা বলেছিলেন। এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সবাই আস্তে আস্তে পালাচ্ছে। বিএনপি যে পলায়নপর তার প্রমাণ হচ্ছে এই দু’জনের পদত্যাগ। তারা দেশে গণতন্ত্র হরণের অপচেষ্টা করেছে। সেকারণে তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলো। এই নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারা ও সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে।
[৭] তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির সামান্য সমোলোচনা করায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে তেড়ে গেলো, এতেই প্রমাণ হয়, বিএনপির নিজেদের মধ্যেই গণতান্ত্রিক চর্চা নেই।
[৮] বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।