নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] শেখ মেহেদী হাসান আগেও ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন, সেটাই আরো এক বার দেখালেন এই অলরাউন্ডার। ডিপিএলে খেললেন মাত্র ৫৮ বলে বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস।
[৩] ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মেহেদী হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রীতিমত উড়ে গেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসানের ব্যাটে ভর করে ৩ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জয় করে নেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
[৪] ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৫৮ বলে ৯২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন মেহেদী হাসান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কার মারে। মোহামেডানের বোলার এবং ফিল্ডাররা রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে তার ব্যাটিংয়ের সামনে।
[৫] মেহেদী হাসান ছাড়া অবশ্য আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সৌম্য সরকার। ১৭ বলে তিনি করেন ২২ রান। ২টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কা মেরে বিদায় নেন তিনি। আর শেষ দিকে ইয়াসির আলি রাব্বি করেন ৬ বলে ১১ রান।
[৬] মোহামেডানের পক্ষে আসিফ হাসান ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। শুভাগত হোম এবং ইয়াসিন আরাফাত নেন ২টি করে উইকেট।
[৭] এর আগে মিরপুরে টস জিতে মোহামেডান অধিনায়ক শুভাগত হোমকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান গাজী গ্রুপের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপকে ১৬৬ রনের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দিয়েছে মোহামেডান।
[৮] অধিনায়ক শুভাগত হোমের ব্যাটই ঝলসে উঠেছে আজ। ৩১ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন শুভাগত।
[৯] ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৩২ বলে করেন ৪১ রান। আরেক ওপেনার আবদুল মজিদ আউট হয়ে যান ১০ রান করে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইরফান শুককুর ২২ বলে করেন ২৮ রান।
[১০] শামসুর রহমান শুভ করেন ৮ রান। নাদিফ চৌধুনী শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেও মাহমুদুল হাসান করেন ১৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান।
[১১] গাজী গ্রুপের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রাকিবুল আতিক, মেহেদী হাসান এবং মহিউদ্দিন তারেক।