শরীফ শাওন : [২] করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে, এছাড়াও শিক্ষকরা মানবেতন জীবনযাপন করছে।
[৩] সোমবার জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব প্রিন্সিপাল মুফতী বাকিবিল্লাহ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, কওমি মাদ্রাসা এখনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকার আদর্শ মান ধরে রেখেছে।
[৪] বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে কোনো প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট বাণিজ্য হয় না। শিক্ষকরা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেন এবং তাদের আয়-উপার্জনও সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান প্রদেয় বেতন-ভাতার ওপর নির্ভর করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের আয়-উপার্জন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে আছে। উপার্জনের জন্য বারোয়ারি ধান্দা না করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় একনিষ্ঠতার এ শুদ্ধবাদীতাই যেন কওমি শিক্ষকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[৫] সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, নির্ভেজাল শিক্ষানিষ্ঠ শিক্ষকদের শিক্ষানুরাগকে সম্মান করে এবং তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে সব কওমি মাদরাসা খুলে দিন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পর্যায়ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।