শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২১, ০৪:১৮ সকাল
আপডেট : ১২ জুন, ২০২১, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রভাষ আমিন : তবুও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

প্রভাষ আমিন : মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের চেতনা উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যেই অবিরাম ছুটে চলা শেখ হাসিনার এবং এই চলা গোয়ারের মতো। পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপোড়েনের পর শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু বানাবেন। তখন তার মন্ত্রিসভার অনেকেই বিশ্বাস করেননি এটা সম্ভব। কিন্তু পদ্মা সেতু এখন আর কম্পিউটার গ্রাফিক্স নয়, স্বপ্ন নয়; বাস্তবতা।

বছর খানেকের মধ্যে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে। তার বক্তৃতায়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার অবয়ব থেকে যে আত্মবিশ্বাস ঠিকরে পড়ে সেটাই এখন বাংলাদেশের চিত্র। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। মাথাপিছু আয়ে পাকিস্তান অনেক আগে থেকেই পেছনে, এবার পেছনে পড়েছে ভারতও।

নেতৃত্বের, ব্যক্তিত্বের এই চরম উৎকর্ষের সময়েই শেখ হাসিনার ইমেজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, শুধু নির্বাচন প্রসঙ্গে। ৭২ বছর জুড়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করা আওয়ামী লীগের সময়ে গণতন্ত্রই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। যেটা অনাকাক্সিক্ষত। বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাটাই এখন এক হাস্যকর প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যার সময়েই দেশে গণতান্ত্রিক স্পেসের সবচেয়ে বড় সঙ্কটের অভিযোগ। রাজনীতি, রাজপথ থেকে নির্বাসিত অনেক আগেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিবেচনায়ও আমাদের অবস্থান তলানিতে। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে মানবাধিকার-গণতন্ত্রকে আড়াল করা হচ্ছে। যতোই উন্নয়নের গল্প শোনানো হোক গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক পন্থায় উন্নয়নই টেকসই উন্নয়ন।

দেশ অনেক এগিয়েছে, এগোচ্ছে। উন্নয়ন কাজ হচ্ছে অনেক। তবে উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি আর সুশাসনের অভাব। এখন শেখ হাসিনাকে নিশ্চিত করতে হবে দুর্নীতিমুক্ত টেকসই উন্নয়ন। নিশ্চিত করতে হবে সুশাসন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের অনেকেই জনবিচ্ছিন্ন, কর্মী বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। অনেক এমপি নিজ নিজ এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ। আওয়ামী লীগের অনেকেই বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার সত্যিকারের চেতনা ধারণ করে না।

দলের দরজা খুলে দেওয়ায় বিভিন্ন দল থেকে ক্ষমতালোভী ধান্দাবাজ হাইব্রিডদের ভিড় এখন আওয়ামী লীগে। এখানে শেখ হাসিনাকে শক্ত হতে হবে, নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। এমপি-মন্ত্রীদের পাঠাতে হবে মাটির কাছে, মানুষের কাছে। ১/১১-এর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি ফিরেছে। তার হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে। এবার শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র হয়ে উঠুক।

লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়