সমীরণ রায়, জেরিন আহমেদ : [৩] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর ও সুস্পষ্ট।
[৪] তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব আন্দোলনের কথা বলছেন, কিন্তু আন্দোলন করার মতো শক্তি ও সামর্থ্য কি তাদের আছে? যারা দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি তাদের মুখে আন্দোলন-সংগ্রামের কথা মানায় না। তাদের আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই সার।
[৫] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের দাবি জনগণ সরকারের পাশে নেই। নির্বাচনই যদি মাপকাঠি হয় তাহলে সাম্প্রতিকালের প্রায় সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ই প্রমাণ করে এদেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের সঙ্গে আছে। পরবর্তী নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তখনই প্রমাণিত হবে জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে কী নেই।
[৬] তিনি বলেন, বিএনপি আমলে শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অনেককে নির্যাতন করা হয়েছিল কেন? তাহলে কি বিএনপি তাদের দুর্নীতি ঢাকতেই এসব সাংবাদিকদের নৃশংসভাবে হত্যা ও নির্যাতন করেছিল?
[৭] তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগই সর্বপ্রথম মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং তাদের নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন। দেশে এখন অন্ধকার নেই। বরং বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় যে অন্ধকারে রেখে যায়, সেখান থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন আলোর পথে।
[৮] শুক্রবার তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।