রাহুল রাজ: [২] শঙ্কাটা তৈরি হয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বড় হারের মুখে ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। ইনিংস ব্যবধানেই হারল দলটি। মূলত পাকিস্তানী পেসার হাসান আলীর তোপে পড়েই বিধ্বস্ত হয় স্বাগতিকরা।
[৩] হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১১৫ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৪ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৪২৬ রান।
[৪] প্রথম ইনিংসে ২৫০ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল বড় কোনো জুটি। শুরুতে এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছিল তারা। দুই ওপেনার কেভিন কাসুজা ও টারিসাই মুসাকান্দার ব্যাটে ৪৮ রানের ওপেনিং জুটি পায় দলটি। কিন্তু এরপর হাসানের তোপে পড়ে আর কোনো বলার মতো জুটিই গড়তে পারেনি তারা। ফলে ইনিংস ব্যবধানেই হারতে হয় তাদের।
[৫] অবশ্য হাসান ওপেনিং জুটি ভেঙে দেওয়ার পর স্বাগতিকদের টপ অর্ডার ভাঙতে দারুণ সহায়তা করেন স্পিনার নুমান আলী। মিল্টন শুভামা ও অধিনায়ক ব্র্যান্ডন টেইলরকে তুলে নেন তিনি। ফাহিম আশরাফও তুলে নেন জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের সেরা ব্যাটসম্যান রয় কাইয়াকে। এরপর লেজ ছাঁটাইয়ের বাকী কাজটা সারেন হাসান। ফলে ১৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি।
[৬] জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন মুসাকান্দা। ৮৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন এ ওপেনার। অধিনায়ক টেইলরের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। কাসুজা করেন ২৮ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ৩৬ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন হাসান। প্রথম ইনিংসে তিনি পেয়েছিলেন ৪টি উইকেট। - ক্রিকইনফো