মিনহাজুল আবেদীন: [২] ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসা বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ১৩ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি মেটাতেই বাংলাদেশ সরকার এখন ভারতের বাইরে বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম শুক্রবার বিবিসি বাংলায় বলেন, দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২০ লাখ ডোজ আনার চেষ্টা চলছে। তাদের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রয়েছে। অনেকে তা ব্যবহার করেনি। সেই টিকাগুলো পাওয়ার আশা করছি।
[৪] তিনি বলেন, ‘আমরা এই ঘাটতি মেটাতে টিকা সংগ্রহ করার চেষ্টায় আছি। আমেরিকা, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ইউকে এবং অস্ট্রেলিয়ায় সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি’।
[৫] তিনি বলেন, আশা নিয়েই বাঁচে মানুষ। আমরাও আশা করছি এই টিকা পেয়ে যাবো। প্রথম ডোজ দেয়া থেকে দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে যে সময় হাতে থাকছে, তার মধ্যে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা এতোদিনে প্রায় দেড় কোটি লোককে টিকা দিতে পারতাম। কিন্তু মাত্র অর্ধকোটি লোককে টিকা দিয়েছি। সুতরাং অবশ্যই আমরা হোঁচট খেয়েছি। সরকার এখন রাশিয়া এবং চীন থেকেও টিকা আনার ব্যাপারে তৎপরতা চালাচ্ছে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :