রাজু চৌধুরী : [২] কৌশলে বিভিন্ন মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়েে , রূপকে পুঁজি করে, শরীরের প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে অভিনব কায়দায় জিম্মি করে আদায় করে অর্থ। এমনই
[৪] চট্টগ্রামের ভয়ঙ্কর নারী প্রতারক জোবাইদা সুলতানা হীরা ওরফে সোনিয়া (২৫) কে সহযোগী ইমরানসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
[৫] বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে আগ্রাবাদ মৌলভীপাড়া ইউসুফ হাজীর বাড়ীর জাহেদের ভবনের নীচ তলার ঘরের একটি কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় সেই ঘর থেকে জিম্মি অবস্থায় এ্যাডভোকেট এস.এইচ.এম হাবিবুর রহমান আজাদ (৫২) নামে এক আইনজীবীকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া সোনিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। ইমরানও তিন মামলার আসামি।
[৬] ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সোনিয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের প্রধান। তার গ্রুপে আরও চারজন পুরুষ সদস্যও আছে। সোনিয়া প্রেমের অভিনয় করে ছেলেদের নিজ ঘরে নিয়ে আসে। এরপর চক্রের বাকি সদস্যরা অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। যারা ছবি দেখেও টাকা দেয় না তাদের মারধর করে এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাদের হাতে এভাবে জিম্মি অবস্থায় ২০১৩ সালে একজন মারাও যায়।
[৭] ওসি মহসীন আরও জানান, বৃহস্পতিবার এডভোকেট হাবিবকে একটি মামলার বিষয়ে কথা আছে বলে চৌমুহনী দেখা করে সোনিয়া। এক পর্যায়ে সেখান থেকে মৌলভীপাড়া বাসায় যেতে বলে। এডভোকেট হাবিবও তার কথায় বাসায় যান। কিন্তু বাসায় যাওয়া মাত্রই সেখানে আগে থেকে উপস্থিত থাকা আরও তিন যুবক তাকে আটক করে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় হাবিব কৌশলে থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সোনিয়া কে গ্রেফতার করে। তবে বাকিরা পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ইমরান নামে এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
[৮] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া জানায়, গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৫০ জনকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করেছে তার চক্র। গ্রেফতারকৃত প্রতারক সোনিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া চক্রে জড়িত প্রত্যেকেই ২ থেকে ৩ মামলার আসামি বলে জানান ওসি মহসীন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :