ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: [২] প্রকাশ্যে দিনের বেলায় মুক্তি খাতুন রিতা (২৭) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
[৩] রিতা ওই এলাকার বায়োজিদ সারোয়ারের স্ত্রী।
[৪] প্রত্যক্ষদর্শী গৃহবধূর শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনু জানান, তার ছেলে বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি করেন। সেই সুবাদে বায়োজিদ সারোয়ার বেশকিছু মানুষকে রূপপুর প্রকল্পে চাকরিও দিয়েছেন।
[৫] ঘটনার দিন বেলা ১১টার সময় ৫ জন যুবক চাকরির জন্য তার বাড়িতে আসে। বায়োজিদ সেই সময় বাজারে থাকায় ড্রইংরুমে বসিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন পুত্রবধূ মুক্তি খাতুন রিতা।
[৬] সে সময় তিনি তার ঘরে কোরআন পড়ছিলেন। হঠাৎ হত্যাকারীরা তার ঘরে ঢুকে গলা টিপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। সে সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে তিনি পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
[৭] নিহত গৃহবধূ রিতার স্বামী বায়োজিদ সারোয়ার জানান, তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাংলা পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন। রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য তার নানির বাড়ির এলাকা থেকে কিছু মানুষ বাড়িতে আসবে তাই বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। এসে দেখেন তার স্ত্রী মুক্তি খাতুন রিতাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারা। তিনি কাউকে দেখেননি। তবে তার মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন।
[৮] এদিকে পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান ও ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[৯] ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, যে কি কারণে রিতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
[১০] তিনি আরও বলেন, সিআইডির বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ