সোহাগ গাজী: [২] দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বিধবা সহিদা বেগমকে (৮৪) নির্বাচন কমিশনের তালিকায় মৃত দেখানোর ফলে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে (১৪ মাস) স্বামীর অবসর ভাতা উত্তোলন করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শুধু তাই নয় বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিক অন্যান্য সুবিধা থেকেও। বিষয়টি তিনি চিরিরবন্দর নির্বাচন অফিসকে অবহিত করে নাম তালিকাভুক্তির আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না।
[৩] সহিদা বেগম উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের ভূমি অফিসের ৪র্থ শ্রেণির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মৃত ফজির উদ্দিন ইসাহাকের স্ত্রী।
[৪] সহিদা বেগমের একমাত্র ছেলে সহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর করোনার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পাস বই জমা নেয়। বেশ বিছুদিন গত হওয়ার পর কোনো সংবাদ না পাওয়ায় ব্যাংকে গিয়ে জানা যায়, মায়ের আইডি কার্ড অনলাইনে সাপোর্ট নিচ্ছে না এবং মৃত দেখাচ্ছে। বিষয়টি নির্বাচন অফিসকে অবহিত করালে নির্বাচন অফিসার আব্দুল মালেক ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পাস বই, ব্যাংকের চেকবইসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় বন্ধ হয়ে আছে অবসর ভাতার টাকা।
[৫] সহিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা গেছেন প্রায় একযুগ আগে। তিনি ভূমি অফিসে চাকরি করতেন। তার মৃত্যুর পর আমি অবসর ভাতা গ্রহণ করে কোনোভাবে সংসার পরিচালনা করতাম। আমি জীবিত আছি অথচ কমিশনের এমন গাফেলতির কারণে গত ১৪ মাস ধরে আমি কোনও টাকা তুলতে পারছি না। নির্বাচন অফিস থেকে বিষয়টি সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি সংশোধন হয়নি।
[৬] আব্দুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ময়েন উদ্দিন শাহ বলেন, আমার কাছে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করতে এলে আমি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।
[৭] চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ওই নারীর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও উত্তর আসেনি। শিগগিরই যাতে সমস্যার সমাধান হয়, সেই চেষ্টা করছি। দ্রুতই বিষয়টির সুরাহা হবে বলে আশ্বাস দেন। সম্পাদনা: হ্যাপি