রাশিদুল ইসলাম : [২] গত আর্থিক বছরে ফেসবুকের মালিক মার্ক জাকারবার্গের নিরাপত্তার জন্য এ অর্থ খরচের কথা জানা গেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ফাইল থেকে। এছাড়া জাকারবার্গের অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যয় কাটাতে ১০ মিলিয়ন ডলার কর ভাতা দিয়েছে ফেসবুক। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৪] এই বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে জাকারবার্গের নিরাপত্তাকর্মীদের বেতন, সরঞ্জাম কেনা, নিরাপত্তা সেবা নেওয়া ও আবাসনের উন্নয়নের পেছনে। শুধু জাকারবার্গ নন, তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ব্যয়ও বহন করে ফেসবুক। তা দেশে থাকার সময় হোক বা দেশের বাইরে থাকার সময়। গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে এ খরচ আরো বেড়েছে।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মেনলো পার্কে জাকারবার্গের অফিস। সেখানেই অন্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন তিনি। অন্য কর্মীদের মতো জাকারবার্গের ডেস্কও খোলা, বদ্ধ কিউবিকল নেই তার। অন্যদের সঙ্গেই তিনি বসেন। তবে তার পাশে দেহরক্ষী থাকে।
[৬] মেনলো পার্কের ওই অফিসের নীচেই আছে গাড়ি রাখার জায়গা। কিন্তু গাড়িবোমার ঝুঁকির কারণে কেউ জাকারবার্গের বসার জায়গার ঠিক নীচে গাড়ি রাখতে পারেন না। অফিসের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে হয় তাকে। এমনিতে খুব সাদামাঠাভাবেই চলেন তিনি। সাধারণত ছাই রঙের টি-শার্ট ও ট্রাউজার্স পরে অফিস করেন।
[৭] পোশাকের বিষয়ে মাথা না ঘামালেও নিজের নিরাপত্তা নিয়ে এখন বেশ উদ্বেগ বেড়েছে তার। তাই অফিস থেকে যাতে জরুরি প্রয়োজনে বের হতে পারেন, সে কারণে গোপন সুড়ঙ্গও ব্যবহার করেন তিনি। বিশ্বের সব বড় বড় প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তাই নিজেদের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা মোতায়েন করে রাখেন। সে তুলনায় জাকারবার্গ আরও বেশি সতর্ক।
[৮] জাকারবার্গ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে নানা রকম উপহার পান সারা বছর ধরে। কিন্তু কোনও উপহার তিনি নিজে খোলেন না। এসব উপহার আগে নিরাপত্তার পরীক্ষায় পাশ করে আসতে হয়। তিনি কোনও রেঁস্তোরা বা বারে গেলে তার নিরাপত্তারক্ষীরা আগে তল্লাশি করেন গোটা জায়গাটা। জাকারবার্গের সংস্পর্শে আসা কোনও চিকিৎসক বা প্রশিক্ষককেও নিরাপত্তার বলয় পার হয়ে যেতে হয়।
[৯] ২০১৫ সালে তার নিরাপত্তায় প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল ফেসবুক। ২০১৭ সালে এটা বেড়ে হয় ৯ মিলিয়ন ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি।