রাহুল রাজ: [২] বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস ২০০ মিটার স্প্রিন্টে মেয়েদের ইভেন্টে নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার নতুন রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ভেঙ্গে দিয়েছেন ২০০৬ সালে করা বিউটি আক্তারের করা রেকর্ডটি। আগের রেকর্ডটি ছিল ২৪.৩০ সেকেন্ড।
[৩] আর এবার শিরিন সময় নিয়েছেন ২৪.২০ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে রুপা জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শরিফা খাতুন। তিনি সময় নিয়েছেন ২৪.৫০ সেকেন্ড। এছাড়া বাংলাদেশ আনসারের কবিতা রায় ২৫.৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
[৪] নতুন রেকর্ড গড়ে শিরিন আক্তার বলেছেন, ‘নতুন রেকর্ড গড়ে অনেক ভালো লাগছে। বিউটি আপুর করা আগের রেকর্ডটি ভেঙেছি। আসলে আমার অধ্যবসায় আমাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতলাম।’
[৫] ১০০ ও ২০০ মিটারে নিয়মিত সাফল্যের পাওয়ার পেছনে রহস্য বলতে গিয়ে শিরিনের ভাষ্য, “কারোর একার প্রচেষ্টায় সাফল্য আসে না। এজন্য অনেকেরই অবদান আছে। বিওএ, নৌবাহিনী, বিকেএসপি, ফেডারেশন এমনকি সাংবাদিকদের লেখনীও। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি বলেই সাফল্য আসছে। এর জন্য আমাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য আমি ঈদের সময়ও অনুশীলন করে থাকি।’
[৬] ২০০ মিটার স্প্রিন্টে ছেলেদের ইভেন্টে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নাঈম ইসলাম স্বর্ণপদক জিতেছেন। তিনি দৌড় শেষ করেছেন ২১.৭০ সেকেন্ড সময় নিয়ে। রুপা জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শরিফুল। তিনি সময় নিয়েছেন ২১.৮০। এছাড়া ২২.২০ সেকেন্ড সময় ব্রোঞ্জ জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোতালেব।
[৭] ২০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতে নাঈম ইসলাম বলেছেন, জুনিয়র অ্যাথলেট থাকার সময়ে জহির রায়হান(বর্তমান অ্যাথলেট) আমাকে কোচিং করিয়েছেন। শেরপুরে আমাদের বাড়ি। এবার গেমসে শুরুতে ১০০ মিটারে অংশ নিয়ে তৃতীয় হয়েছি।
[৮] ছোট বেলা থেকে অ্যাথলেটিকস খেলতাম। আমার আসলে দৌড়াতে ভালো লাগে। অ্যাথলেটিকস আমি আসলে উপভোগ করি। তাই এর সঙ্গে আছি।ভবিষ্যতে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেতে চাই।