অহিদ মুুকুল : [২] সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গিদের বোমা বিষ্ফোরণে পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেল নিহত হওয়ার ঘটনার চার বছর পূর্ণ হলো। ছেলের মৃত্যুতে মা ফিরোজা খাতুনের চোখের পানি শুকালেও এখনো শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। ছেলের তরতাজা প্রাণ এভাবে ঝড়ে যেতে পারে, তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা। মৃত্যুর আগে ছেলের প্রকৃত খুনিদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি প্রদানের দাবি জানান ফিরোজা খাতুন।
[৩] শুক্রবার (২৬ মার্চ) নিহত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এওজবালিয়া তার গ্রামের বাড়িতে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
[৪] মনিরুল ইসলাম সোহেল পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের ডা. নুরুল ইসলামের ছেলে। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সোহেল ছিলেন চতুর্থ। পিতার মৃত্যুর পর পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন মনিরুল ইসলাম সোহেল। তার মৃত্যুতে পরিবারের আয়ের চাকা বন্ধ হয়ে গেছে।
[৫] সংসার জীবনে সোহেল এবং তাঁর স্ত্রী পারভীন আক্তারের রয়েছে মোজ্জাকেরুল ইসলাম পারাভী নামের ছয় বছরের একটি পুত্র সন্তান। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী পারভীন আক্তারকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি দেওয়া হয়। আদর-ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রাখলেও বাবার শূন্যতা আজও তাড়া করে বেড়ায় শিশু পারাভীকে।
[৬] নিহত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেলের মা ফিরোজা খাতুন বলেন, ছেলের মৃত্যুর পর কী অসহায় অবস্থায় আছি সেটা বুঝাতে পারবো না। আমার সন্তানের প্রকৃত খুনিদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হোক। যাতে এভাবে আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়। ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ স্মরণ করার জন্য তাঁর ছেলের (শহীদ মনিরুল ইসলাম সোহেল) নামে একটি সড়ক বা সরকারি ভবনের নামকরণ করার দাবি করেন তিনি।
[৭] উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ রাত ৮টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ির আতিয়া মহলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হওয়ার পর রাত ১টা ৪০ মিনিটের সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেল।