আবদুল আলী: [২] ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত আজ। ইতিহাসের এই দিনে পাশবিকতা, নৃশংসতা আর হিংস্রতার রূপ প্রকাশ করে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক ও সেনাবাহিনী। বাংলার মানুষের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার, চলে নির্বিচারে গণহত্যা।
[৩] আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সন্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
[৪] গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা।
[৫] অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবলু হোসেন, গুইমারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাজিম উদ্দীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ম্রাসাথোয়াই মগ, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমূখ।
[৬] গণহত্যার বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে বক্তারা তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু একটি রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না, এটা ছিল মূলত বিশ্বসভ্যতায় এক জঘন্যতম গণহত্যার।
[৭] মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যার বিভৎস অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা দিয়ে তারা বলেন, ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ও নিকৃষ্টতম গণহত্যা। ২৫ মার্চ শাহাদাত বরণকারীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ, বাঙালি জাতিকে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করেছিল বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
[৮] রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালনের অংশ হিসেবে ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় গুইমারাতে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক -আউট’ পালন করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :