মনিরুল ইসলাম: আজ শনিবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “আমরা তীব্র মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছি। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।”
ঘটনার পর ৬০ ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কেন মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা যায়নি, এটা এক বিরাট প্রশ্ন ও রহস্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুন্না বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় রেখে দেশে অরাজক পরিস্থিতি বিদ্যমান রাখতে চাইছে। এ অজুহাতে দীর্ঘপ্রতীক্ষিত জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টাও করছে। প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কর্মসূচি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত করা গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে তাদেরকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি। বরং পুলিশ কৌশলে প্রকৃত খুনিদের বাদ দিয়ে নিরপরাধ তিনজনকে আসামি করেছে বলে আমরা গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি।
মুন্না বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা দলীয়ভাবে অভিযুক্তদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছি এবং সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা থেকে যা যা প্রয়োজন, তা করেছি। তারপরও যারা খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশে খুন, সন্ত্রাস ও আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত এক নেতাকে রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে, চাঁদপুরে খুতবা চলাকালে এক ইমামকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে, কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল ও ছাত্রদল নেতা সাম্য, এবং প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এসব ঘটনায় তেমন প্রতিবাদ দেখা যায়নি।
খুলনায় যুবদল কর্মীকে রগ কেটে হত্যার ঘটনাতেও সরকার ও প্রশাসনের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন যুবদল সভাপতি। তিনি বলেন, রগ কাটা রাজনীতির ইতিহাস একটি নির্দিষ্ট দলের। এসব ঘটনার পেছনে প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।