খাজা নিজাম উদ্দিন: দেশের ভালো চাইলে সব দলের সব পেশার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আমি অন্তত ১০০ দুর্নীতিবাজদের চিনি যাদের শাস্তি হয়েছে। হাই ভোল্টেজ আরও ১১ জন দুর্নীতিবাজ নেতাদের চিনি যাদের পদ থেকে সরানো হয়েছে। দুদকের মামলা চলাকালীন সময়ে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে এমন অন্তত ৩ জনকে জানি। ১০০ এর ওপর ব্যাংক কর্মকর্তা দুর্নীতির দায়ে জেলে আছে। হাই ভোল্টেজ আরও দুর্নীতিবাজরা তালিকায় আছে। আপনি বলবেন, এতো বিশাল সংখ্যার তুলনায় কিছুই না। আমিও আপনার সাথে একমত। সংখ্যাটা কিছুই না। প্রশ্ন হলো সব দলের সব পেশার দুর্নীতিবাজদের বিচারের জন্য আমি আপনি কী করছি? দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বেশির ভাগ ভয় পায়, কখন কার হাড়ি নিয়ে টানাটানি পরে। একটা বড় অংশের হাড়িতে যা আছে, তা ফাঁস হলে মহা বিপদ। যখনই বলি সব দলের সব পেশার সব দুর্নীতিবাজদের বিচারে এক হই, লড়াই করি। তখনই আপনার ম্যা ম্যা শুরু হয়।
সব দলের সব পেশার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস আপনার নেই। কারণ আপনি চান আপনার পক্ষের লোকেরা ক্ষমতায় আসুক, আর যারা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, লুটের সর্দার অথবা আপনি চান, চাকরি পেতে তাদের মাধ্যমে, অথবা আপনি চান আপনার ব্যবসায়িক সুবিধা পেতে, রাতের আধারে এই আপনি প্রজেক্ট পেতে, চাকরি পেতে, কনসালটেন্সি পেতে, নানা সুবিধা পেতে লবিং করেন, তারও রেকর্ড আছে। অথবা লুটের টাকার নিরাপত্তা বিধানের জন্য আপনি জয় বাংলা বলছেন। ছুড়ে দেওয়া নানা হাড্ডির জন্য আপনি জয় বাংলা বলছেন।
পুরো দেশটা আছে বিপদে। সরকারি দলে যেমন ধান্ধাবাজদের অভাব নেই, সরকারবিরোধিদের মধ্যেও ধান্ধাবাজদের অভাব নেই। দুই গ্রুপের ধান্ধাবাজদের মতে যে দ্বদ্ন্ব তা হলো, ছুড়ে দেওয়া হাড্ডির দখল নিয়ে (চাকরি, ব্যবসা, পদপদবি, কমিশনসহ নানা ধান্ধাবাজি)। সব দলের সব পেশার সব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলার লোক কম। নিশ্চয়ই সব দলের সব দুর্নীতিবাজদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো দুর্নীতিবাজদের বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল হবে। দলমত নির্বিশেষে সব দলের সব পেশার সব দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে কথা বলুন (যদি নিজের হাড়ি পরিষ্কার থাকে)। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :