ইমরুল শাহেদ: ঈদের ছবি নিয়ে এখন থেকেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সিনেমা খোলা আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ দর্শক সিনেমা হলে ঢুকতে পারবে, এমনটাই নিয়ম এখনও বলবৎ আছে। সিনেমা হল মালিকরা বলছেন, তাতে তাদের খরচ পোষাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতেই প্রযোজক পরিবেশক বড় বাজেটের চারটি ছবি মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আগুন, দিন: দ্যা ডে, মিশন এক্সট্রিম এবং বিদ্রোহী। এর মধ্যে দুটি রয়েছে শাকিব খানের। আরও ছবি মুক্তি পেলেও পেতে পারে।
একজন প্রদর্শক জানিয়েছেন, এখন আছে ৮০টি সিনেমা হল। ঈদ উপলক্ষে এমনিতেই সিনেমা হলের সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারও সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু কতগুলো বাড়বে সেটা এখনই নিশ্চিত হওয়া যাবে না। সরকারকে শতভাগ দর্শক সিনেমা হলে আসার অনুমোদন দিতে হবে। অর্থাৎ শতভাগ টিকিট বিক্রির অনুমতি চান প্রদর্শকরা। ভারত ইতোমধ্যে শতভাগ টিকিট বিক্রির অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।
কোভিড মহামারীর আতঙ্ক কাটিয়ে সব কিছু ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। শপিং মল, যাত্রী পরিবহনসহ, হাটবাজার সর্বত্রই আগের মতো চলতে শুরু করেছে। গণজমায়েত, আড্ডাসহ লোক জড়ো হওয়ার মতো স্থানগুলো এখন লোকে লোকারণ্য। তাহলে সিনেমা হলে শতভাগ দর্শক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অসুবিধা কোথায়? সিনেমা হল মালিকরা বেশি করে দর্শক ফেরা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন। কারণ কোভিড-১৯ মহামারীর শুরুর দিকে ঘরমুখী মানুষ হাতের এনড্রয়েডে বিনোদন উপভোগ করায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ইউটিউব, এ্যাপসসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদন উপভোগ তাদের কোন দিকে নিয়ে গেছে এটা বলা মুশকিল। তবে প্রত্যাশা হলো বড় পর্দার মজা আর হাতের ছোট স্ক্রিনের মজা এক নয়।
এখানে আনন্দবাজারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করা হলো। পুজো উপলক্ষে কলকাতার নবীনা সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘প্রেম টেম’। মালিক নবীন চৌখানির কথায়, ‘ছবি ভাল হলে, তা চলবেই। প্রথম সপ্তাহের পরে ‘ওয়র্ড অব মাউথ’ প্রচার শুরু হয়। তার উপরেই নির্ভর করে, কত দিন হলে থাকবে ছবিটা। এ সপ্তাহে যেমন ‘প্রেম টেম’-এর পাশাপাশি ‘চিনি’ও দেখেছেন লোকে।’ মঙ্গলবার নন্দনের বাইরে ‘হাউসফুল’ বোর্ড ঝুলতে দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন পরে। ঢাকার চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তা ঘটবে না এমনটা বলা যায় না।
আপনার মতামত লিখুন :