রাশিদুল ইসলাম : [২] ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্পের জন্যে নতুন কিছু নয়। এবার তার শিকার হলেন নিজদলের ঘনিষ্ঠ মিত্র রিপাবলিকান সিনেটর মিশ ম্যাককনেল। একগুঁয়ে, জঘন্য ও গোমড়ামুখোর মত শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন ট্রাম্প। সিএনএন
[৩] ট্রাম্প বলেন যদি রিপাবলিকান সিনেটররা থাকেন তাহলে তারা আর বিজয়ী হতে পারবেন না। অথচ ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে এই মিশ ম্যাককনেল অসংখ্যবার তাকে রাজনৈতিক শক্তি যুগিয়েছেন।
[৪] এমনকি ট্রাম্প যখন একতরফা ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করছিলেন, তখনও ম্যাককনেল মৌনতা অবলম্বনে সম্মতিসূচক সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প ক্যাপিটলে হামলার উস্কানি দিয়ে বক্তব্য রাখলে ম্যাককনেলের মৌনতা ভেঙ্গে যায়।
[৫] ম্যাককনেল ক্যাপিটল হিলের হামলায় ট্রাম্পের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা করেন। সিনেটে বলেন, ট্রাম্পের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার মুখোমুখি হওয়া উচিত।
[৬] তাতেই চটে যান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে বের হবার এক মাস পর দীর্ঘ এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন ম্যাককনেলের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও ব্যক্তিত্বের ঘাটতি আছে।
[৭] অভিশংসন থেকে রক্ষা পাওয়ার পর চরম ডান রক্ষণশীল অনেক রিপাবলিকান নেতারা ট্রাম্পের কাছে ধর্ণা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থিসহ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে দলের জন্য ট্রাম্পের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
[৮] কিন্তু ট্রাম্প এও ভোলেননি প্রতিনিধি পরিষদে ১০ জন ও সিনেটে ৭ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এদের অবসরে যেতে বা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ট্রাম্প-সমর্থকদের দাবি জোরালো হচ্ছে।