গাজীপুর প্রতিনিধি: [২] আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের বড়াই করাকে কেন্দ্র করেই স্যানিটারী মিস্ত্রী সাদেক আলী (৩২)-কে প্রকাশ্যে নৃশংভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনার পর নিহতে ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি শুক্রবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় চার জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
[৩] পরে ঐ দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ ছয় জন গ্রেফতার করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-কমিশনার জাকির হাসান।
[৪] গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাাকির হাসান বলেন, গাজীপুর শহরের ছায়াবীথি মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া স্যানিটারী মিস্ত্রি সাদেক আলী বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার নিজ প্রয়োজনে বাসার পাশে দোকানে যায়। সেখানে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের বড়াই করাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায় সাদেক আলী বাসায় ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আসামীরা কৌশলে তাকে বাসার পাশে রাস্তায় ডেকে নেয়। সেখানে আসামীরা প্রকাশ্যে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শুক্রবার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
[৫] পরে সদর থানা পুলিশের কয়েকটি টিম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতারা করা হয়েছে।
[৬] গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার মধ্যছায়াবীথির রেজাউলের বাসার ভাড়াটিয়া এবং পশ্চিম ভূরুলিয়ার মো: শফিকুল ইসলামের ছেলে কাওয়াস আহমেদ আকাশ (২৩), একই থানার মধ্যছায়াবীথি এলাকার মো: আমজাদ হোসেন মুকুলের ছেলে মো: মেহেদী হাসান বিজয় (২১) মারিয়ালী (কলাবাগান) এলাকার মো: নুরুজ্জামানের ছেলে মো: শামীম (১৮), জেলার কালীগঞ্জ থানার কলাপাটুয়া এলাকার মো: রেজাউল করিমের ছেলে ইমন আহমেদ (২০), জয়দেবপুর থানার কুমুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো: মোবারক হোসেন মোবা (২০) ও মধ্যছায়াবিথী আজিজুল হকের বাড়ীর ভাড়াটিয়া কাপাসিয়ার বাদল চন্দ্র বিশ^াসের ছেলে নিলয় চন্দ্র বিশ^াস (১৯)।
[৭] তিনি আরো জানান, মামলার দুই নম্বর আসামি মেহেদী হাসান বিজয় মধ্যছায়াবিথী এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার জন্য তার নেতৃত্বে অপর আসামিরা সমবয়সী কয়েকজনের একটি বখাটে গ্রুপ পরিচালনা করে। ওই গ্রুপগুলোর সদস্যদের অংশগ্রহণের তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃত্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে ।
[৮] প্রেস ব্রিফিংকালে সহকারী পুলিশ কমিশনার থুয়াই ফ্রু মারমা, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলে।