শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:০০ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. আসিফ নজরুল : প্রতিবেদনে পরিবেশিত বিষয়গুলোর উপযুক্ত উত্তর দেশবাসীকে জানানো দরকার

ড. আসিফ নজরুল : সেনাপ্রধানের ভাইদের কাজকর্ম এবং তাদের সাথে তার যোগাযোগ নিয়ে আল-জাজিরার সচিত্র প্রতিবেদন বহু মানুষ দেখেছে, দেখছে। এর উত্তরে সরকারিভাবে দুটো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এসবে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে পরিবেশিত তথ্যের উত্তর তেমনভাবে নেই। আছে প্রতিবেদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বলা হচ্ছে আল-জাজিরার প্রতিবেদন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক। এটি যে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক তা আমরাও বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু এজন্য প্রতিবেদনে পরিবেশিত বিষয়গুলোর উপযুক্ত উত্তর দেশবাসীকে জানানো দরকার। যেমন: প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে সেনাপ্রধানের একজন ভাই খুনের দায়ে ফেরারী আসামী হয়ে আছেন।

এ অবস্থায় তিনি সরকারের কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় জালিয়াতি করে বাংলাদেশ থেকে ভূয়া পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট করেছেন, নিজের নাম পর্যন্ত বদল করেছেন। আল-জাজিরার এসব তথ্য কি মিথ্যে? প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ফেরার আসামী হয়েও সেনাপ্রধানের ভাইরা বাংলাদেশে এসে এসএসএফ, পুলিশ, গোয়েন্দা এবং প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সেনাপ্রধানের সন্তানের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।

এই তথ্য কি মিথ্যে? এর প্রমাণ হিসেবে আল জাজিরার প্রতিবেদনে দেখানো ছবি ও ভিডিও গুলো কি  কারসাজি করে করা? সেনাপ্রধানের কোন ভাই যদি সত্যি সত্যি আইনের উর্ধ্বে থাকেন, তাহলে এর পেছনে যুক্তিগুলো কি কি? এরকম এবং এরচেয়েও সেনসেটিভ কিছু বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন  আসতে পারে। সরকারের তরফ থেকে তাই প্রতিবেদনটির জবাব থাকলে তা আরো স্পষ্ট করে বলা উচিত। দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকে আরো ভালো করে বলা উচিত। কিশোরদের কার্টুন না, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় আল জাজিরার এমন প্রতিবেদনে।

এই প্রতিবেদন মিথ্যে হলে, তা প্রমান করার সব ব্যবস্থাও তাই  সরকারের নেওয়া উচিত। আল জাজিরায় প্রতিবাদলিপি পাঠানো উচিত। তাদেরকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং প্রতিবেদন প্রত্যাহার করতে বলা উচিত। এটি করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরনের মামলা করা উচিত। সেই সৎসাহসের প্রত্যাশায় থাকলাম। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়