জেরিন আহমেদ: [২] পাঁচদিন হাসপাতালে থাকার পর রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সৌরভকে ডিসচার্জ করে অ্যাপোলো হাসপাতাল।
[৩] বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় গতবারের মতো সাংবাদিক এবং তার অগনিত ভক্তের উদ্দেশ্যে কিছুই বলেননি দাদা। সোজা গাড়িতে উঠে পড়েন।
[৪] এরপর চিকিৎসকদের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আফতাব খান জানান, সৌরভ গাঙ্গুলী সুস্থ আছেন। তার হার্ট আর পাঁচজনের থেকে অনেক মজবুত। এখন নরমাল জীবনযাপন করতে পারবেন। চাইলে আজ থেকেই তার অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে পারেন।
[৫] এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এনজিওপ্ল্যাস্টি করে সৌরভের হৃদযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত বাকি দুই ধমনীতে রিং বসানো হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ভারতের দুই শীর্ষস্থানীয় কার্ডিওলজিস্ট দেবী শেঠি এবং অশ্বিনী মেহতা।
[৬] এছাড়া সঙ্গে ছিলেন আফতাব খান, সপ্তর্ষি বসু এবং সরোজ মন্ডল। এই তিন চিকিৎসক দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে গত ২ জানুয়ারি সৌরভের হৃদ ধমনীতে প্রথম রিং বসিয়েছিলেন।
[৭] ফলে ২১ দিনের ব্যবধানে তিন ধমনীতে তিনটি রিং সফলভাবে বসানো হয়েছিল ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর বুকে।
[৮] গত ২ জানুয়ারি সৌরভ গাঙ্গুলী নিজের বাড়িতেই ট্রেডমিল করার সময় সাময়িক ব্যাল্ক আউট হয়ে যান। ওইদিনই বুকে ব্যথা নিয়ে উডল্যান্ডসে ভর্তি হয়েছিলেন দাদা। পাঁচদিন হাসপাতালে থাকার পর ৭ জানুয়ারি ডিসচার্জ করে দেওয়া হয় তাকে।
[৯] এরপর ২০ দিনের ব্যবধানে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে কলকাতার ইএম বাইপাস লাগোয় অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দাদাকে। ওইদিন রাতেই ইকো-কার্ডিওগ্রাম ও ইসিজি করা হয়। সেই রিপোর্টেও কিছু অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় দেবী শেঠি, অশ্বিন মেহাতার তত্বাবধানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা নাগাদ এনজিওগ্রাফি করা হয় এবং বিকেল পাঁচটা নাগাদ এনজিওপ্ল্যাস্টি করে বাকি দুই রিং বসানো হয় বুকে। হিন্দুস্তান টাইমস