সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : [২] পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ও বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন।
[৩] এনিয়ে মেয়র পদে ৫ প্রার্থীর মধ্যে আগেই ২ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে স্ব-ইচ্ছায় সরে গেছেন এবং ভোট চলাকালে শনিবার আরো দুই জন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেন।
[৪] বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন শনিবার বেলা ১১ টায় ভোট চলাকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি, ৯ টি কেন্দ্রের সবক’টি থেকে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া, তাকে লাঞ্ছিত করা এবং বহিরাগতদের এনে নৌকায় ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ করেন।
[৫] তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে ভোট কাটাকাটি হচ্ছে। পুলিশ তার সব এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। তাকে পুলিশ লাঞ্ছিত করেছে। প্রিসাইডিং অফিসার , ম্যাজিষ্ট্রেট এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা প্রত্যক্ষ করেও ঠুটো জগন্নাথের মতো বসেছিলেন। সাংবাদিকদের সাথেও পুলিশ অশোভন আচরন করেছে। একজন ক্যামেরাম্যানকে গলার কলার ধরে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে পুলিশ।
[৬] এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) নার্গিস সুলতানাও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন। নিজ বাসায় বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
[৭] এছাড়া আরও কয়েকজন কাউন্সিলার প্রার্থীও ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
[৮] উল্লেখ্য , শুক্রবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী ওরফে মজনু চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুলকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন।
[৯] এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলাম তার স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস আক্তারকে সমর্থন জানিয়ে তিনিও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ