পলাশ রহমান : এতো ‘উত্তেজনা’ হইয়েন না। শেখ হাসিনা আপনাদের নিরাশ করবেন না। তিনিই সবার আগে টিকা নেবেন। আন্তর্জাতিক খবর হওয়ার এসব সুযোগে তিনি হেলা করেন না। আগে থেকে একখান কথা বলে রাখি, শেখ হাসিনা সবার আগে টিকা নেওয়ার পর কেউ আবার টিকার শিশি পরীক্ষা করতে চাইয়েন না। তাইলে কিন্তু প্যাচ লাগবে। যারা টিকা নিরাপদ মনে করেন না তাদের টিকা নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু অযৌক্তিক বিভ্রান্তি ছড়াইয়েন না। এটা মানুষের জীবন মরণের ইস্যু। আপনার কাছে টিকার বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা থাকলে দিন, নয়তো চুপ থাকুন। সবকিছু নিয়ে পানি ঘোলা করতে হয় না। কাল দেখলাম দেশের একজন নামকরা রাজনীতিক টিকার প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘ডাল মে কুচ কালা হে’। এতোটুকু বলে তিনি সবার মধ্যে সন্দেহ ছড়িয়ে দিলেন। কিন্তু তার সন্দেহের কোনো ব্যাখ্যা করলেন না। বৈজ্ঞানিক কোনো তথ্য দিলেন না। অবোধ্য এক লাইন বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিলেন। অথচ ভারত থেকে টিকা ক্রয় প্রক্রিয়া, চুক্তি, অর্থনৈতিক দুর্নীতি, সংরক্ষণ পদ্ধতি, প্রয়োগ ব্যাবস্থা, প্রতিক্রিয়া, কতো কিছু নিয়ে কথা বলার আছে। সরকারকে চাপে রাখার রাস্তা আছে। জনগণকে আশ্বস্ত করার বাণী আছে। সেসব পথে না গিয়ে, সেসব কথা না বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মানে কী? মানুষকে বিভ্রান্ত করে কী লাভ হবে? কার লাভ হবে? যারা টিকা নিয়ে অবৈজ্ঞানিক, অধার্মিক বিভ্রান্তি করছেন তাদের কাছে দেশের মানুষ আরেকটু দায়িত্বশীলতা আশা করে। সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ‘হ্যাংলা কথা’ আশা করে না। ফেসবুক থেকে