ফরহাদ টিটো : অনেক ক্রীড়াবোদ্ধা, ক্রিকেট অনুসারী মানুষ বিশ্বাস করেন একজন ক্রিকেটারের অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার। এই ব্যাপারে ক্রিকেট বোর্ডের কোনো অধিকার নেই তাকে অনুরোধ করার কিংবা চাপ দেওয়ার। কথাটা খুব উঠছে এখন আমাদের দেশি মেইনস্ট্রিম আর সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশ্যই মাশরাফি প্রসঙ্গে। মাশরাফি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর থেকে বিভিন্ন পর্যায় থেকে ‘চাপ’এবং অনুরোধেও অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি জাতীয় দল থেকে আজ পর্যন্ত। এমন আমরা শুনেছি বহুবার। নিজে থেকে ছেড়ে না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত দুঃখজনকভাবে বাদও পড়তে হয়েছে তাকে জাতীয় দল থেকে।
জাতীয় দল থেকে অবসরের ব্যাপারটা আসলেই একজন খেলোয়াড়ের শতভাগ নিজস্ব সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত? আমি তা মনে করি না। ধরুন, আজ সকালে মুশফিকুর রহিম অথবা সাকিব আল হাসান ঘোষণা দিয়ে দিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হোম সিরিজের পর তারা অবসর নেবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। সেক্ষেত্রে কি বাংলাদেশের, প্রবাসের একজনও বলবেন যে, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, যখন খুশি রিটায়ার করবেন। আমরা বা বিসিবি বাধা দেওয়ার কে? বাস্তবতা আসলে সম্পূর্ণ বিপরীত। সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নামবে সাকিব, মুশির এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এসে কাঁধে হাত দিয়ে বোঝাবেন তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য। ফেসবুক থেকে