আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] জো বাইডেনকে নিজের জন্য সমস্যা মনে করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সম্প্রতি তার দেশ ইইউ এর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ফলে প্রতিবছর দেশটির ৯০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। বরিস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও নতুন ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক চান। তবে সেটিকে বিশেষ করে গড়ে তুলতে চাননা তিনি। পলিটিকো
[৩] ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ ঘণিষ্ঠ ছিলেন বরিস জনসন। নতুন ডেমোক্রেট প্রশাসনের সঙ্গে একইভাবে মিশতে চাননা তিনি। এখনও অবশ্য যুক্তরাজ্যের ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি বাইডেনের ট্রানজিশন টিমও। অথচ যুক্তরাজ্য বিষয়ে কাজ করেন এমন ১৬জন কর্মকর্তার স্বাক্ষাৎকার নেয়া শেষ হয়েছে। সিএনএন
[৪] এই ব্যাপারে ক্লিনটন ও ওবামা প্রশাসনে জেষ্ঠ্য দায়িত্ব পালন করা চার্লস কুপচান বলেন, ‘আপনি যখন ইউরোপের ব্যাপারে কিছু ভাববেন, আপনাকে সবার আগে লন্ডনে ফোন করতে হবে। কিন্তু আমার ধারণা, নতুন প্রশাসনের লন্ডনে ফোন করার প্রবণতা কমবে। যুক্তরাজ্য আর ইউরোপের টেবিলেই বসছে না।’
[৫] অবশ্য অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিশ্ব রাজনীতিতে এখনও বড় খেলোয়াড় যুক্তরাজ্য। তাদের ইইউতে থাকা বা না থাকায় কিছুই এসে যায় না। এজন্য বাইডেন প্রশাসন বাধ্য হতে পারে, লন্ডনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে। তবে জনসন হয়তো তা নাও চাইতে পারেন। দ্য ডিপ্লোম্যাট