এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চালক রনি মিয়া হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার মজলিশপুরের হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২৭) ও সরাইল উপজেলার গোগদ ইসলামাবাদ এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া (২৫)। এই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত দুই আসামী।
[৩] সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সদর উপজেলার মজলিশপুরের দুলাল মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক রনি মিয়া। এই ঘটনায় দুলাল মিয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ১৭ ডিসেম্বর বেলা অনুমান ১১ঘটিকার সময় সদর থানা এলাকার ছয়বাড়িয়ায় ডিসি প্রজেক্টের দক্ষিণ পাশে পশ্চিম কোণায় বাউন্ডারী দেয়াল সংলগ্ন বালির স্তূপে চাপা দেওয়া অবস্থায় পা দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় সংবাদ দিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ভিকটিমের বাবা মোঃ দুলাল মিয়াসহ উক্ত স্থানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করলে লাশের পরিচয় সনাক্ত হয়। এই ঘটনায়য় ভিকটিম রনি মিয়ার বাবা মোঃ দুলাল মিয়া বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি দস্যুতাসহ খুনের মামলা করেন।
[৪] মামলা দায়েরের পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোববার রাতে রনি হত্যার ঘটনায় জড়িত মোঃ জাকির হোসেন ও মোঃ সোহেল মিয়া (২৫)কে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
[৫] গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তাদের সহযোগী আসামীসহ ভিকটিম রনি মিয়ার অটো ভাড়া করে অটোসহ ছয়বাড়িয়ায় ডিসি প্রজেক্ট এলাকায় নিয়ে যায় এবং অটো রিক্সাটি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তাকে হাত পা বেধে ছুরিকাঘাত করে এবং মাফলার পেচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। অতঃপর অটো রিক্সা এবং ভিকটিম রনি মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।
[৬] পুলিশ জানায়, মামলার জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম ঠিকানা জানা গেলেও মামলার স্বার্থে আসামীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ হচ্ছে না। সম্পাদনা: আখিরুজ্জামান সোহান
আপনার মতামত লিখুন :