মাছুম বিল্লাহ: [২] তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি না হওয়া ও ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন পাসের পরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘খারাপ হওয়া’ সম্পর্ক ভ্যাকসিন কূটনীতির মাধ্যমে উন্নতি করতে চাইছে দিল্লি।
সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত বছর ভারতজুড়ে নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে ভারত সফর বাতিল করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এরপর থেকেই ঢাকার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবছর দুইবার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। চীনের সাথে সীমান্তবর্তী উত্তেজনা চলাকালীন সময়ে গত আগস্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসেন তিনি।
[৩] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের ব্যর্থ তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি ও বিতর্কিত নাগরিক আইনের কারণে কয়েক দশকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আঁচ লেগেছিল। কোভিড-১৯ দুটি দেশকে আবারও একত্র করেছে।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। গত বছর ভারতের বিতর্কিত ধর্মভিত্তিক নাগরিক আইন পাস হওয়ার পর এটিই তাদের প্রথম বৈঠক। আলোচনার শুরুতেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যাপারে ভারত বিশেষ ভাবে নজর দিবে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি।
[৫] গত নভেম্বরে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিশ্রুতির ঘোষণার পরই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে ৩ কোটি ডোজের চুক্তি করেছে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।