ইসমাঈল ইমু, রাজশাহী থেকে: [২] পদ্মার চর থেকে সীমান্তবর্তী গ্রাম চর খিদিরপুর। পদ্মার নদী ভাঙ্গনে এই গ্রামের বেশির ভাগ অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এই গ্রামের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামটির নাম কাতলামারি। গ্রামটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অংশ। কাতলামারি গ্রামও পদ্মার ভাঙ্গনে প্রায় বিলীন। কোনো বসতবাটি নেই। খালি পড়ে আছে প্রায় ৪০/৫০ একর পতিত জমি। কাতলামারি গ্রামের এই পতিত জমিতে বাংলাদেশের বাথান। খানপুর গ্রামের বাসিন্দারা এখানে গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল লালন পালনের জন্য ছেড়ে দেয়। খানপুর গ্রামের পদ্মা নদীর মাঝখানে বিশাল চর জেগেছে। শীতকালীন এই সময়ে পদ্মার অনেক স্থানে হাঁটু পানি।
[৩] স্থানীয়রা জানান, বছর পাঁচেক আগেও ওখানে পাকা দালান ছিল। ছিল তিন তলা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দোতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি হাইস্কুল, মাদ্রাসা আরও কত কি। বসতি ছিল হাজার ত্রিশেক মানুষের। পাকা দালানের বাড়িও ছিল অনেকের। মাঠে ধানের আবাদ থেকে শুরু করে শীতকালীন সবজির চাষ হত। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেত। প্রতি বর্ষায় উত্তাল পদ্মায় একে একে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে গত বছর খিদিরপুরের শেষ চিহ্নটুকু সীমান্ত পিলারও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
[৪] শীতকালে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় খিদিরপুর চর দেখা মিলেছে। খিদিরপুরে আমার ৪০ বিঘা ধানি জমি ছিল। ছিল পাকা বাড়ি। সর্বাশান্ত হয়ে অন্যের জমিতে কুঁড়েঘর তুলে বসবাস করছেন অনেকে। ভাঙ্গনের যে পরিস্থিতি তাতে আগামী বর্ষা মৌসুমে খিদ্পিুর গ্রামের টিকে থাকা বসতবাটিগুলোও বিলীন হয়ে যাবে।
[৫] বিজিবির রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, শীতকালে পদ্মার ভারতীয় অংশের সাড়ে ৪ শ মিটার জলপথ ব্যবহারের চেস্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর আসামের গোহাটিতে দুই দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে অালোচনা করা হবে।